—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত করিমপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় দৈনন্দিন যানজটে নাকাল স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সমস্যা বেশ কয়েক বছরের। রাস্তার দখলদারি থেকে শুরু করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীর। স্থানীয় প্রশাসন সব জানলেও সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
স্থানীয় পথচলতি মানুষের বক্তব্য, ২০০০ সালে আট ফুটের রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণ করে ১৬ ফুট করা হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে এলাকায় জনবসতি বেড়েছে, বেড়েছে যান চলাচল। সেই সময় পাকা সড়ক সম্প্রসারণ হলেও সাধারণ মানুষের হাঁটাচলার জন্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। উল্টে পাকা সড়কের দুই ধারে ফুটপাত দখল করে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান। ফল থেকে শুরু করে নানা জিনিস বিক্রি হচ্ছে প্রায় রাস্তার উপরেই। সামান্য জায়গা দিয়েই গাড়িঘোড়া-মানুষকে চলাফেরা করতে হচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত যানজটের কবলে পড়ছে করিমপুর বাজার।
ঘোড়াদহ গ্রামের বিকাশ চৌধুরীর কথায়, “গত কয়েক মাস ধরে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ব্যস্ত রাস্তাতেই কিন্তু কিছু যুবক দুরন্ত গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” এলাকার সাইরুল শেখ, অশোক সরকারদের বক্তব্য, বিশেষ করে নতিডাঙা মোড় থেকে নাটনা মোড় পর্যন্ত করিমপুর বাজার চত্বর এলাকায় রাস্তা সম্প্রসারণ ও ফুটপাত তৈরি না করা পর্যন্ত যানজট সমস্যার সুরাহা হবে না। কেননা ফুটপাতে দোকান হয়ে রাস্তা সরু হয়ে গিয়েছে। নেতাজি মূর্তির পাশ দিয়ে পুরনো বাজার চত্বরে যানবাহন ঢোকা থেকে শুরু করে মানুষের হাঁটাচলায় প্রবল সমস্যা হয়।
করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুপর্ণা মুখোপাধ্যায় হালদার বলেন, "প্রচুর ব্যবসায়ী পথে ফল থেকে নানা ধরনের জিনিস রেখে কেনাবেচা করেন। বেশ কয়েক বার মাইকে প্রচার চালিয়ে তাঁদের সরে যেতে বলা হলেও কেউ কর্ণপাত করছে না।" তাঁর আশ্বাস, "পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খুব তাড়াতাড়ি বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে পুলিশ, প্রশাসন, বাজার ব্যবসায়ী, পরিবহণ ব্যবসায়ী সকলকে ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।"
আর, এসডিপিও (তেহট্ট) শুভতোষ সরকারের দাবি, “ট্রাফিকের কোনও গাফিলতি নেই। করিমপুর বাজার চত্বরে রাজ্য সড়ক অনেকটাই সঙ্কীর্ণ। দুরন্ত গতির মোটরবাইক ধরতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy