Advertisement
E-Paper

রাস্তায় ধানচারা লাগিয়ে বিক্ষোভ

রাস্তায় ধানচারা পুঁতে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার খড়গ্রামের বাসন্দা। এ দিন প্রায় শ’খানেক গ্রামবাসী ওই বিক্ষোভে সামিল হন। অভিযোগ, পাকা রাস্তার পিচ উঠে গিয়েছে সেই কবে। খানাখন্দে বর্ষার জল ভরে গিয়েছে। প্রতি বছরই এ ভাবে চলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩৯
বিক্ষোভ এ ভাবেই। বৃহস্পতিবার খড়গ্রামে তোলা নিজস্ব চিত্র।

বিক্ষোভ এ ভাবেই। বৃহস্পতিবার খড়গ্রামে তোলা নিজস্ব চিত্র।

রাস্তায় ধানচারা পুঁতে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার খড়গ্রামের বাসন্দা। এ দিন প্রায় শ’খানেক গ্রামবাসী ওই বিক্ষোভে সামিল হন। অভিযোগ, পাকা রাস্তার পিচ উঠে গিয়েছে সেই কবে। খানাখন্দে বর্ষার জল ভরে গিয়েছে। প্রতি বছরই এ ভাবে চলে। কিন্তু এ বছপর পিচের কোনও অস্তিত্বই নেই। মাটি বেরিয়ে পড়ে রাস্তা জুড়ে এখন প্যাচপেচে কাদা। বারবার রাস্তা সারাইয়ের অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা ধানচারা পুঁতে বিক্ষোভ দেখান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর পাঁচেক ধরে খড়গ্রাম বাজার থেকে খড়গ্রাম মোড় পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার লম্বা ওই রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে। পিচ উঠে যাওয়ায় এলাকার লোকজনকে ফি বর্ষায় কাদা মাড়িয়ে স্কুলের পুড়ুয়া থেকে বাসিন্দাদের যাতায়ত করতে হত। এমনকী ওই রাস্তা দিয়ে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালেও যেতে হয়। তারমধ্যে এক কিলোমিটার রাস্তার কাজ বছর খানের আগে পূর্ত দফতর তৈরি করে। কিন্তু বাকি রাস্তায় কাজ শেষ না করে পূর্ত দফতর হাত গুটিয়ে নেয়।

বাসিন্দাদের দাবি বহুবার ওই রাস্তার সংস্কারের জন্য দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয় নি। তাই ওই দিন সকালে স্থানীয়েরা জড়ো হয়ে রাস্তার মধ্যে ধানের চারা লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারিদের মধ্যে বাপি মিঞা, ইরান শেখ, এসডু শেখ, মানস ঠাকুরেরা বলেন, “বাড়ি থেকে বাড়িয়ে বাজারে যাব তার উপায় নেই। সারা বছর ওই জলকাদার রাস্তা মাড়িয়ে বাজার থেকে হাসপাতাল সর্বত্রই যেতে হয়।’’ তাঁরা জানান, বহুবার তাঁরা বিভিন্ন দফতরে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয় নি। তাই বাধ্য হয়েই বিক্ষোভ দেখান।

সমস্যার কথা জানে খড়গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই রাস্তা পেরিয়ে পঞ্চায়েত দফতরে যেতে হয় পঞ্চায়েতের আধিকারিক থেকে সমস্ত সদস্য ও প্রধানকে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের সরিফুল ইসলাম বলেন, “রাস্তাটি আগে জেলা পরিষদের অধীনে ছিল। বর্তমানে ওই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অধীনে রয়েছে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বহুবার পূর্ত দফতরের কর্তাদের জানানো হয়েছে কিন্তু কোনও কিছুতেই কিছু হয়নি। রাস্তার কাজ হলে আমরা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নিকাশিনালার কাজও করে দেব।”

পূর্ত দফতরের কান্দি মহকুমার ময়ূরাক্ষী ডিভিশনে আধিকারিক দিলীপলাল আইচ বলেন, “রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। বর্ষার কারণে কাজ করতে পারছি না। বর্ষার শেষে কাজ শুরু হবে।”

Rice
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy