জমে উঠেছে লড়াই।ছবি : নিজস্ব চিত্র
গোটা ফরাক্কা জুড়ে চাউর হয়ে গিয়েছে এ বার মাঠ দাপাবেন নাইজেরিয়রা। চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভাঙাতে তাই পৌষের নরম রোদ্দুর গায়ে মেখে বেরিয়ে পড়েছিলেন ইউসুফ শেখ।
রবিবারের খেলা শেষে বাড়ির পথ যখন ধরলেন তখন মুখে খেলছে এক চিলতে হাসি। তিনি বলছেন, ‘‘নিজেও এক সময় চুটিয়ে ফুটবল খেলেছি। নানা জায়গায় খেলা দেখতে গিয়েছি। কিন্তু এমন খেলা জন্মে দেখিনি। কাকে ছেড়ে কাকে দেখব গুলিয়ে যাচ্ছিল।’’
দেশের মাটিতে এমন বিদেশি ‘পাস’ দেখার লোভে ফরাক্কা কলেজ মাঠে হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার দর্শক। সকলেই মানছেন, ‘‘খেলা সত্যিই হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দেয়নি।’’
ফরাক্কা ব্লক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ফরাক্কা চ্যালেঞ্জার্স কাপের দু’বারের জয়ী সমাজ কল্যাণ সঙ্ঘের লক্ষ্য ছিল নিজেদের দাপট বজায় রাখা। অন্য দিকে, প্রতিপক্ষ বিন্দুগ্রাম কোচিং সেন্টারও জমি ছাড়তে রাজি ছিল না। মান রাখতে দুই দলই কলকাতা থেকে নিয়ে আসেন বিদেশি ফুটবলারদের। ফলশ্রুতি, ফরাক্কা চ্যালেঞ্জার্স ট্রফির ফাইনালে দুই দলের হয়ে ঘাম ঝরালেন ২২ জন বহিরাগত ফুটবলার, যাদের মধ্যে ১৫ জনই নাইজেরিয়ার।বিন্দুগ্রাম সমাজ কল্যাণ সঙ্ঘের হয়ে খেললেন ১০ জন। প্রতিপক্ষ বিন্দুগ্রাম কোচিং সেন্টারের হয়ে পাঁচ জন।
আয়োজক সংস্থার সম্পাদক অরুণময় দাস জানান, আটটি দল নিয়ে নক আউট পর্যায়ে এই খেলা শুরু হয় ১১ ডিসেম্বর। ফাইনালে ১-০ গোলে বিন্দুগ্রাম কোচিং সেন্টারকে হারিয়ে ট্রফি ফের নিজেদের দখলে রাখল সমাজ কল্যাণ সঙ্ঘ।
স্বভাবতই নাইজেরিয় বনি, দিয়া, মোস্তফা, জেমস, এমেকা, আহমেদ, পকেরো ,অবিও, স্যাঙ্ক ও ইসমাইল ছাড়াও অতিরিক্ত আরও ৫ জনকে আনতে গিয়ে বাবলু ঘোষের সমাজ কল্যাণের বাজেট ছাড়িয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।
অন্য দিকে ক্লিপলিং, ইজি-সহ পাঁচ জন নাইজেরিয়র পাশাপাশি কলকাতা, গাজল ও দেবগ্রাম থেকে বাকিদের আনতে নাজেম শেখের ক্লাব কোচিং সেন্টারের বাজেট দাঁড়ায় প্রায় লক্ষ টাকা।
সমাজ কল্যাণের সম্পাদক বাবলু ঘোষ বলছেন, “টাকাটাই বড় নয়। এলাকার মানুষকে ফুটবল খেলা দেখাতে পেরেছি এটাই বড় পাওনা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy