Advertisement
০৬ মে ২০২৪
NAAC Evaluation of Colleges

নাকের মূল্যায়নে যোগ দিতে জোর, কর্মশালা

শনিবার সারা দিন ধরে চাকদহ কলেজের বিদ্যাসাগর সভাকক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে নদিয়া জেলার সব কলেজের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।

ন্যাক নিয়ে কর্মশালায় বিভিন্ন কলেজের প্রতিনিধিরা। ১০ডিসেম্বর ২০২৩।

ন্যাক নিয়ে কর্মশালায় বিভিন্ন কলেজের প্রতিনিধিরা। ১০ডিসেম্বর ২০২৩। ছবি সৌমিত্র সিকদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাকদহ  শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২১
Share: Save:

ফলাফল যাই হোক, রাজ্য সরকার চাইছে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কলেজগুলি নাকের মূল্যায়নে যোগ দিক। এ কাজে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর উদ্যোগী হয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর রাজ্য এবং জেলা স্তরের পরামর্শদাতাও নিয়োগ করেছে। তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কর্মশালায় যোগ দিচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য জুড়ে এই কর্মশালা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেলার নির্দিষ্ট একটি কলেজে এই কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে জেলার অন্য কলেজের প্রতিনিধিরা যোগ দিচ্ছেন, পারস্পরিক আলোচনা করছেন।

শনিবার সারা দিন ধরে চাকদহ কলেজের বিদ্যাসাগর সভাকক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে নদিয়া জেলার সব কলেজের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। ওই কলেজের অধ্যক্ষ স্বাগতা দাস মোহান্ত বলেন, ‘‘এ এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আমাদের কলেজকে জেলার কর্মশালা করার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের কলেজ-সহ জেলার ২৪টি কলেজের ৫৩ জন প্রতিনিধি এই কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন সমস্যা এবং সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই ধরনের কর্মশালা আমাদের খুব উপকারে লাগবে বলে মনে করছি।’’ জানা গিয়েছে, নাকের মূল্যায়নে যোগ দিতে গেলে কলেজের পরিকাঠামো, পঠনপাঠন, সামাজিক ক্ষেত্রে কলেজের ভূমিকা-সহ মোট ৫৬টি বিষয়ে ‘সেলফ স্টাডি রিপোর্ট’ জমা দিতে হয়। সংস্থার প্রতিনিধি দল সেই রিপোর্ট যাচাই করতে যায়। মূল্যায়ন শেষে কলেজগুলিকে বিভিন্ন গ্রেড দেওয়া হয়। এর মাধ্যমেই সেই কলেজের সামগ্রিক ছবি স্পষ্ট হয়ে যায়। ন্যাকের মূল্যায়নে অংশ নিতে রাজ্যের কলেজগুলিকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে ৪৫০টির মতো কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টির মতো কলেজ এতে অংশ নিয়েছে। বাকিরাও যাতে অংশ নেয় এবং ভাল ফল করে, তার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে কলেজের কী সমস্যা হচ্ছে, সমস্যা সমাধানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা এবং কী ভাবে কলেজ ন্যাকের দেওয়া শর্তপূরণ করে ভাল ফল করতে পারবে, তা হাতেকলমে দেখানো হচ্ছে।’’

তিনি আরও জানান, গত দুই বছর ধরে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর উদ্যোগী হয়েছে। এই মূল্যায়নের মাধ্যমে গোটা দেশের নিরিখে এই রাজ্যের কলেজগুলি যে পিছিয়ে নেই, তা-ও স্পষ্ট হবে বলে তাঁর দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NAAC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE