নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সরকার বাসের ভাড়া বাড়াতে রাজি না হওয়ায় সোমবার নদিয়ার অধিকাংশ বেসরকারি বাসের চাকা ঘুরল না। সাতসকালে হাতে গোনা কিছু দূরপাল্লার বাস কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে এলেও সেখানেই যাত্রাসাঙ্গ হয়। ফলে সপ্তাহের প্রথম দিনেই দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ছোট গাড়ি বা ভ্যান ভাড়া করে তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা চালিয়েছেন।
নদিয়া জেলা বাসমালিক সমিতির সভাপতি কুণাল ঘোষ বলেন, “বলতে গেলে প্রায় কোনও বেসরকারি বাসই চলেনি জেলায়। আমাদের দাবি মানা না হলে আপাতত বাস বন্ধই রাখতে বাধ্য হবেন মালিকেরা।”
কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, চাকদহ, নবদ্বীপ বা করিমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে এ দিন কার্যত বাস চলাচল করেনি। অনেকেই বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন। নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য অসীম দত্ত বলেন, “ সোমবার যে ক'টি বাস চলেছে তার বেশির ভাগই সরকারি বাস। এর মধ্যে সকালে করিমপুর-কলকাতা পাঁচটি এবং বর্ধমান-কৃষ্ণনগর রুটে একটি সরকারি বাস চলেছে। আর বেসরকারি বাসের মধ্যে কৃষ্ণনগর থেকে একটি করে বাস চলেছে হুলোর ঘাট, সোনাতলা, তেহট্ট ঘাট এবং বগুলা হয়ে নোনাগঞ্জ। আরও গোটা ছয়েক বাস সকালে কৃষ্ণনগরে এসে আর বেরোয়নি।”
প্রতিদিন চাকদহ বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন রুটের ৭০টি বাস চলাচল করে। বনগ্রাম যাওয়ার বাস বেশি। এ দিন প্রায় কিছুই চলেনি। রানাঘাট বাসস্টান্ড থেকে বিভিন্ন রুটের ১০৫টি বাস চলাচল করে। সেখানে বেকুব হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাড়ার অণিমা মণ্ডল। মেয়ের বাড়ি এসে ফেরার পথে বিপত্তি। বলেন, “বাড়ি ফিরব কী করে বুঝতে পারছি না!” করিমপুর থেকে কলকাতায় একাধিক বাস চললেও কৃষ্ণনগর রুটে একটি বাস এক বারই মাত্র চলেছে। বহরমপুর রুটে কয়েকটি বাস চললেও যাত্রী ছিল খুবই অল্প।
রানাঘাট বাস মালিক সমিতির চেয়ারপার্সন মদন দাসের দাবি, “মানুষ পরিস্থিতি জানে। তারা ভাড়াবৃদ্ধি মেনে নিতে রাজি আছে। তা হলে কেন ভাড়া বাড়ানো হবে না?” বাস মালিক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক সমীর ধর বলেন, “ভাড়া না বাড়ালে আমরাও বাস চালাব না।” সমাধানসূত্র না মিললে আজ, মঙ্গলবারও ভোগান্তি অব্যাহত থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy