Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
CBI

Murshidabad: থমথমে জেলা, মুখে কুলুপ নেতাদের, সরকারি গাড়ি দেখলেই রব উঠছে ইডি-সিবিআই এল

পাশেই বীরভূমে চলছে ইডি’র জোর তল্লাশি। মুর্শিদাবাদ নিয়েও বারে বারে গরুপাচার থেকে শুরু করে আরও নানা বড় বড় দুর্নীতির প্রশ্ন উঠেছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২২ ০৬:৩৩
Share: Save:

এই বুঝি এল।

সারা দিনভর সরকারি গাড়ি দেখলেই মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় গুঞ্জন উঠল ওই বুঝি ইডি-র গাড়ি, সিবিআইয়ের গাড়ি যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে। কোনও পুলিশের গাড়ি কিংবা প্রশাসনিক আধিকারিকদের গাড়ি গেলেও মানুষ অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায় এলাকায়।

পাশেই বীরভূমে চলছে ইডি’র জোর তল্লাশি। মুর্শিদাবাদ নিয়েও বারে বারে গরুপাচার থেকে শুরু করে আরও নানা বড় বড় দুর্নীতির প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের কিছু কিছু নেতাও বড় বড় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কেউ বা বর্তমানে ইডি-র হেফাজতে থাকা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। সে কারণে সাধারণ মানুষ আশঙ্কা করছেন যে কোনও সময় এই জেলাতেও ইডি বা সিবিআইয়ের তল্লাশি শুরু হতে পারে।

অতীতে দেখা গিয়েছে এনআইএ-এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আচমকা হানা দিয়েছে স্থানীয় থানাকে না জানিয়ে। ইডি বা সিবিআইও তেমনই অতর্কিত হানা দিতে পারে।

এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘তৃণমূলের এক বিধায়ক যে প্রচুর লোকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেক টাকা তুলেছিলেন তা জেলার অনেকেই জানেন, আমিও শুনেছি। এখন যেহেতু সবটাই তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে তাই কেউ প্রতারিত হলেও তা অভিযোগ আকারে জানাচ্ছেন না। তাই আমরা দাবি করছি জেলায় ইডি আসুক। কারণ এদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।’’

বিজেপি’র জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার। এদিন তিনি বলেন, “ইডি যদি এখানে আসে তা হলে দুর্নীতির পাহাড় পাবেন।”

বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহা অবশ্য একে বিরোধীদের অপপ্রচার বলছেন। তিনি বলেন, “বিরোধীরা এই কথা বলতেই পারেন। কিন্তু তাঁদের হাতে কোনও প্রমাণ নেই। প্রমাণ থাকলে তাঁরা এত ক্ষণ মাঠে নেমে পড়তেন। তাঁরা আমাদের বিধায়কদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আনার এর আগে চেষ্টা করেছেন। মানুষ তার জবাব দিয়েছেন আগামী দিনেও দেবে।”

তৃণমুলের রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হাসান বলেন, “প্রথমত এই সব দুর্নীতির বিষয়ে কিছু জানা নেই। দ্বিতীয়ত এটা দিল্লিও নয়, অসমও নয় যে তদন্তকারী সংস্থাকে আটকে রাখা হবে। ইডি সিবিআই যখন খুশি যেখানে খুশি যেতে পারে।”

সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, “মোদীর দুই বন্ধু সিবিআই আর ইডি। যাঁরা মাথা তুলে দাঁড়াবে তাঁদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করবে। মানুষ যেখানে আছে সেখানে দুর্নীতি আছে। তবু বলব আমাদের জেলার কোনও নেতা-কর্মী দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CBI ED Murshidabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE