বধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে শোরগোল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার পাঁচথুপী গ্রামের মোকামপাড়ায়। মৃতের নাম মীরা বেগম। বধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, ২৩ বছরের যুবতীকে খুন তাঁর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে বড়ঞা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মোকামপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে মীরার দেহ উদ্ধার করে তারা। ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মৃতার বাপের বাড়ি খড়গ্রাম থানার বুধুরাপাড়া গ্রামে। পরিবার সূত্রে খবর, প্রায় আট বছর আগে নাবালিকা অবস্থায় মীরার সঙ্গে মোকামপাড়ার বাসিন্দা জামাল শেখের বিয়ে হয়। দম্পতির দুই সন্তান। বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মীরার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন কারণে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন। সম্প্রতি সেই অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল।
মৃতার কাকা মহম্মদ শামসুল জামানের অভিযোগ, ‘‘ভাইঝির উপর চরম অত্যাচার হচ্ছিল। সপ্তাহখানেক আগে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করেও দেওয়া হয়েছিল। সে তখন বাপের বাড়িতে এসে ছিল। তার পরে ফিরে গিয়েছিল।’’ তাঁর দাবি, গত ১০ ডিসেম্বর জামাল গ্রামের কয়েক জনকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। ওই নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসে। তার পর মীরাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
মৃতার বাবা মেরাজুল শেখের অভিযোগ, ‘‘মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরই ওরা ঘর বন্ধ করে মারধর শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পাই। ওরা আমার মেয়েকে পিটিয়ে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের ধরার চেষ্টা চলছে।