নিজস্ব চিত্র
কুচকুচে কালো, প্রায় ছোট কাঁকড়ার মতো দেখতে! লোমশ আটটা পা! বাড়ির পিছনের বাগানে শখের গাছ লাগানোর জন্য আনমনে মাটি কোপাচ্ছিলেন কালু শেখ। সোমবারের সকাল। গরম সত্ত্বেও মাঝেমাঝে ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছিল। কাজের তাল কাটল মাটির ভিতর থেকে প্রাণীটি কিলবিল করে বের হওয়া মাত্র। শুধু কালু শেখের বাড়িতে নয়, কালীগঞ্জ থানার পলাশির গোটা গোবিন্দপুর গ্রামে হইচই পড়ে গিয়েছিল।
গত কয়েক দিন ধরে গ্রামের লোক টেলিভিশনের খবরে দেখছিলেন, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়ার মতো একাধিক জেলায় যেখানে-সেখানে ভয়ানক-দর্শন মাকড়সা বেরিয়ে পড়ছে। অনেকে বলছেন, সেগুলি ট্যারান্টুলা প্রজাতির, আবার বন দফতরের একাধিক কর্তাই জানিয়েছিলেন, ট্যারান্টুলা প্রজাতির বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন। টিভিতে দেখা সেই মাকড়সার মতোই একটি প্রাণী গ্রামে দেখা দিতে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল। মাকড়সার পিছনে ধাওয়া করে তাকে বোতলবন্দি করে ফেলেছিলেন গ্রামের লোক। খবর দেওয়া হয়েছিল বন দফতরে। কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত দফতরের থেকে কেউ সেই মাকড়সা দেখতে আসেননি। নদিয়া- মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের আধিকারিক রানা দাস বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এই ধরনের মাকড়সার কোন খবর নেই। ফলে এই বিষয়ে সচেতনতা ও সতকর্তা নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ কালু শেখের বাড়িতে বোতলে ভরা মাকড়সা দেখতে অবশ্য লোকের ভিড় কমেনি রাত পর্যন্ত। বন দফতরের কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, প্রচণ্ড গরমে মাটির তলা, দেওয়ালের ফাঁক থেকে প্রাণীগুলি বেরিয়ে আসছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy