Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Abortion Bill

গর্ভপাত করানোর ওষুধ খাওয়ার পরেই অসুস্থ, রক্তপাত, নদিয়ায় মৃত্যু বধূর

শনিবার নদিয়ার করিমপুর থানার গন্ধরাজপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম প্রিয়া ঘোষ। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল পাঠিয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমপুর শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৫৯
Share: Save:

গর্ভপাত করার জন্য ওষুধ খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বধূ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হল না। প্রাণ গেল বছর তেইশের সেই বধূর। শনিবার নদিয়ার করিমপুর থানার গন্ধরাজপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম প্রিয়া ঘোষ। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল পাঠিয়েছে।

পরিবার সূত্রে খবর, মুরুটিয়া থানা এলাকার গন্ধরাজপুরের প্রিয়ার সঙ্গে জলঙ্গি থানা এলাকার সুশান্ত মণ্ডলের বিয়ে হয় ৮ মাস আগে। দু’দিন আগে মালিয়ানতলায় জামাইবাবুর বাড়ি যান প্রিয়া। দাবি, সেখানেই ইউটিউব দেখে গর্ভপাতের ওষুধ খান তিনি। তার পর থেকেই তাঁর শরীরে নানা জটিলতা দেখা যায়। প্রচুর রক্তপাত হয়। অবিলম্বে তাঁকে স্থানীয় করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু প্রিয়ার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভারতে আইনত গর্ভাবস্থার ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত বৈধ। তবে পাঁচ মাস হয়ে গেলে ওষুধ দিয়ে ভ্রূণ নষ্ট করা বিপজ্জনক। তখন সাধারণত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গর্ভপাত করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রিয়া কত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তা দেখার বিষয়। সেটা ময়নাতদন্তে জানা যাবে।

মৃতার বাবা ছিদাম ঘোষ বলেন, ‘‘জামাইবাবুর বাড়িতে গিয়ে গর্ভপাতের ওষুধ খেয়েছিল ছোট মেয়ে। শরীর খারাপ ছিল বলে শুনেছি। কিন্তু এ ভাবে মারা যাবে, বুঝতে পারিনি।’’

এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (গ্রামীণ) কৃষাণু রায় বলেন, ‘‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বাকি আইনি পদক্ষেপ করা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Abortion Bill
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE