Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

মনে হচ্ছে, ফিরে এলাম গ্রামের স্বর্গে

মোটা টাকার হাতছানিতে মনে হয়েছিল এত দিনের দুরবস্থা ঘুচল। এজেন্টের ডাকে সাড়া দিয়ে তাই পলাশিপাড়া, তেহট্ট, শান্তিপুর থেকে জনা সাতেক যুবক পভেসে পড়েছিলেন মালয়েশিয়ায়।

বাড়ি ফেরার পর।— নিজস্ব চিত্র

বাড়ি ফেরার পর।— নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০৯
Share: Save:

মোটা টাকার হাতছানিতে মনে হয়েছিল এত দিনের দুরবস্থা ঘুচল। এজেন্টের ডাকে সাড়া দিয়ে তাই পলাশিপাড়া, তেহট্ট, শান্তিপুর থেকে জনা সাতেক যুবক পভেসে পড়েছিলেন মালয়েশিয়ায়।

কিন্তু সে দেশে গিয়ে তাঁরা বুঝেছিলেন, সবটাই ‘ধাপ্পা’। মোটা মাইনে দূরের কথা, প্রতি মাসে সামান্য মাইনেটাও জুটছে না তাদের।

ফেরার যে তোড়জোড় করবেন, সে উপায়ও নেই। কারণ, তাঁদের পাসপোর্ট আটকে রেখেছে মালেয়শিয় মালিক। শেষতক তাই রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গিয়েছিলেন সাত শ্রমিক। কোনওক্রমে আশ্রয় জুটিয়েছিলেন ভারতীয় দূতাবাসে। সেখানে প্রায় মাসখানেক গৃহবন্দি থাকার পরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁরা দেশে ফেরেন।

মালয়েশিয়া থেকে ফিরে পলাশিপাড়ার মুর্শিদ হালসানা, তেহট্টের গোপীনাথপুরের মেহের শেখ বলছেন, ‘‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ও দেশে নিয়ে গিয়েছিল তেহট্টের এজেন্ট আনারুল শেখ। কিন্তু সেখানে নিয়ে গিয়ে আমাদের ভাল কোম্পানিতে চাকরি দেওয়া দূরে থাক, নিয়মিত কাজও দিতে পারেনি।’’

জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর বিদেশমন্ত্রকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। ওঁরা ফিরতে পারায় ভাল লাগছে।” দেশে ফিরে ওই শ্রমিকেরাও বলছেন, ‘‘মনে হচ্ছে, ফিরে এলাম স্বর্গে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Malaysia Workers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE