সমাজমাধ্যমে পরিচয়। সেখানেই ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়া। কয়েক দিন কথাবার্তার পরেই অপরিচিতাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসেন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সবুজ সাহা (নাম পরিবর্তিত)। সম্মতি মেলে। সামনাসামনি দেখা না-হলেও দীর্ঘ সাত মাস ‘বিবাহবিচ্ছিন্না’ যুবতীর সঙ্গে প্রেমে করছিলেন ১৮ বছরের তরুণ। হঠাৎ ধাক্কা খেলেন। তরুণ প্রেমিক জানতে পারেন, ওই যুবতী আদতে তাঁর সৎমা। এর পর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানা এলাকায়। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর কাছ থেকে ছেলের বিষপানের খবর পেয়ে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বাবা।
মুর্শিদাবাদের রানিনগরে বাসিন্দা সবুজের বাবা ব্যবসায়ী। মা মারা গিয়েছেন কয়েক বছর আগে। বাবা কিছু দিন আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তবে বিশেষ কাউকে সে কথা জানাননি। অন্য দিকে, বাবার স্মার্টফোন থেকে রান্নার সিলিন্ডার ‘বুক’ করতে গিয়ে একটি নোটিফিকেশন দেখে খটকা লাগে ছেলের মনে। তিনি বাবার ফোনে নানা মেসেজ, ছবি ইত্যাদি দেখা জানতে পারেন, যাঁর সঙ্গে এত দিন প্রেম করছেন, তিনি আসলে তাঁর সৎমা!
বন্ধুদের দাবি, তরুণকে ওই যুবতী জানিয়েছিলেন তিনি বিবাহবিচ্ছিন্না। প্রকৃত বয়সও গোপন করেছিলেন। আর ছেলেটির নাম, বয়স জানার পরেও তাঁর প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন ডোমকলের যুবতী।
আরও পড়ুন:
সত্যি জানার পরে ‘ভার্চুয়াল প্রেমিকা’কে ভিডিয়ো কল করেন সবুজ। সব কিছু বলার পরে তাঁকে জানিয়ে দেন, কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করছেন। ফোন রেখে স্বামীকে দ্রুত খবর দেন মহিলা। দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে ছেলের কর্মকাণ্ড জানার পরে দোকান ফেলে বাড়িতে ছোটেন ব্যবসায়ী। দেখেন, সত্যিই কীটনাশক খেয়েছে ছেলে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন। আপাতত ওই তরুণ সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তার পর থেকে বাবা-ছেলে, দু’জনেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কিন্তু ওই ঘটনা জানাজানি হতে প্রতিবেশীরা চর্চা শুরু করেছেন। সবুজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ‘‘এক জনের সঙ্গে গন্ডগোল হয়েছিল। তাই নেশা করে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। লোকে উল্টোপাল্টা রটাচ্ছে।’’