মালদহের মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের বাড়ির অদূরে গুলিকাণ্ডে এক অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ। শুভ দাস নামে ওই যুবকের কাছ থেকে মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র। উত্তম মণ্ডল ওরফে বল্লা নামে অপর এক অভিযুক্তের খোঁজে রয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক ধরে ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বেটিং করছিলেন অভিযুক্তেরা। সেই গোলমালের জেরে গুলি চলে এবং তাতে জখম হন স্থানীয় এক বাসিন্দা।
শনিবার রাতে ইংরেজবাজার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাট পুড়াটুলি এলাকায় দুই রাউন্ড গুলি চলে। জখম হন বিপ্লব ঘোষ নামে স্থানীয় এক যুবক। অভিযোগ, পাড়ার অশান্তি মেটাতে গিয়ে জখম হন ওই যুবক। বিপ্লব জানান, রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজার করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় রাস্তায় কয়েক জন যুবক নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলে জড়িয়েছে দেখে তিনি এগিয়ে যান এবং আক্রান্ত হন। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি চলেছে শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে গুলিটি করেছিলেন ২৯ বছরের উত্তম ওরফে বল্লা। ১৯ বছর বয়সি তনুজ রায় ছিল তাঁর লক্ষ্য। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুলিটি লাগে ৪০ বছরের বিপ্লবের বাঁ হাতে। বিপ্লব এখন মালদহের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, গন্ডগোলের সূত্রপাত বেটিংকে কেন্দ্র করে। অভিযুক্ত উত্তম, শুভ, রোহিত মণ্ডল এবং তনুজ গত দু’মাস ধরে বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বেটিং লড়তেন। টাকার লেনদেন হত। মূল অভিযুক্ত উত্তম ওরফে বল্লার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় ‘কুখ্যাত’ হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। তনুজের সঙ্গে গন্ডগোল করে তাঁর দিকে গুলি ছুড়েছিলেন বল্লা। তার পর ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন।
আরও পড়ুন:
জানা যাচ্ছে, এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে ফেলেছে পুলিশ। তার পর রবিবার আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ-সহ শুভকে আটক করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রথম বার গুলি করে পালিয়ে গিয়ে আবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বল্লা। সেখানে ছিলেন শুভ। আবার এক রাউন্ড গুলি চলে। সেই গুলিই লাগে বিপ্লবের হাতে। দুই অভিযুক্ত মত্ত অবস্থায় ছিলেন। সেভেন এমএম পিস্তল-সহ শুভমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন বল্লার খোঁজ চলছে।