পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বড়ঞার বৈদ্যনাথপুর। সোমবার বিকেলে দুর্ঘটনার পরে এলাকার বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে আক্রমণ করে অবরোধকারীরা। ইট-পাথরের সঙ্গে ছোড়া হয় বোমাও। ইটের আঘাতে দুই পুলিশ কর্মী জখম হন। কয়েকটি ডাম্পার ভাঙচুর করা হয়। বিশাল বাহিনী নিয়ে গিয়েও পুলিশ অবরোধ তুলতে পারেনি। সেষ পর্যন্ত মৃতের বাড়ির লোকেদের অনুরোধে অবরোধ ওঠে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রহৃত হন এক চিত্রসাংবাদিকও।
বৈদ্যনাথপুরের বাসিন্দা পেশায় গ্রিল ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন শেখ (৩২) এ দিন বিকেলে মোটরবাইক নিয়ে সুন্দরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি দ্রুত গতির ডাম্পার সামনের একটি মারুতি অল্টো গাড়িতে জোর ধাক্কা মারে। নিয়ন্ত্রন রাখতে না পেরে ওই গাড়িটি আলাউদ্দিনের মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। বাইক থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। তাঁকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শুরুর আগেই কান্দি হাসপাতালেই আলাউদ্দিনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরেই বাদশাহি সড়কে অবরোধ শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা। মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই মারমুখি হয়ে ওঠে অবরোধকারীরা। ভাঙচুর করা হয় ঘাতক দুই গাড়িতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ইটের আঘাতে জখম হন বড়ঞা থানার পুলিশকর্মী খারু মুর্মু এবং ভরতপুর থানার এএসআই আমজাদ শেখ। তাঁদের বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সন্ধ্যায় মৃতের আত্মীয়রা অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। তার পরেই অবরোধ ওঠে।