ধানতলার এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে মালদহের চার যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করল। ধৃতেরা হল আনিকুল ইসলাম, জিয়াউল হক, আজিম শেখ এবং কার্তিক আদিত্য। মঙ্গলবার রাতে মালদহের কালিয়াচক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে নদিয়ার ধানতলা থানার কামালপুর কৃষ্ণনগর এলাকার বছর ষোলোর অপহৃত কিশোরী।
ধৃতদের বুধবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে এসিজেএম পাপিয়া দাস জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রদীপকুমার প্রামাণিক জানান, কিশোরীর গোপন জবানবন্দি নেওয়ার পর বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর গ্রামের ওই কিশোরীর সঙ্গে মোবাইলে আলাপ মালদহের আনিকুল ইসলামের। শনিবার রাতে কামালপুরে বাড়ির কাছ থেকে কিশোরীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় আনিকুলের বন্ধু আজিম। এ দিকে, ওই কিশোরী বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরদিন মেয়ের বাবা পুলিশের কাছে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই রাতেই দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেয়ের বাবার কাছে অচেনা একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে ভয় দেখানো হয়, যদি মুক্তিপণের টাকা না দেওয়া হয় তাহলে মেয়েকে বাংলাদেশে বিক্রি করে দেওয়া হবে। মেয়ের বাবা পুলিশকে তা জানান। এরপরই পুলিশ নড়ে-চড়ে বসে। মঙ্গলবার কিশোরীর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ধানতলা থানার পুলিশ মালদহে রওনা হয়। মুক্তিপণ দেওয়ার টোপ ফেলে কালিয়াচক বেলডাঙা রাস্তার ধারে সবাইকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল মেয়েটির পরিবারের কাছ থেকে। অভিযান চালিয়ে পুলিশ চার যুবককে গ্রেফতার করেছে। মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy