Advertisement
E-Paper

অবৈধ গ্যাস ব্যবসা চলছেই মুর্শিদাবাদে

ছ’মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। এর আগে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার উমরপুরে অবৈধ ভাবে মজুত করে রাখা গ্যাস সিলিণ্ডার ফেটে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল তিনটি দোকান। তারপরেও যে জেলায় বেআইনি গ্যাসের ব্যবসার রমরমা বন্ধ হয়নি শনিবার ভোরে ফরাক্কার তোফাপুরের বিস্ফোরণের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৪ ০০:৩৩

ছ’মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। এর আগে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার উমরপুরে অবৈধ ভাবে মজুত করে রাখা গ্যাস সিলিণ্ডার ফেটে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল তিনটি দোকান। তারপরেও যে জেলায় বেআইনি গ্যাসের ব্যবসার রমরমা বন্ধ হয়নি শনিবার ভোরে ফরাক্কার তোফাপুরের বিস্ফোরণের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। পাশাপাশি দু’টি গ্যাসের দোকান থেকে ২২টিরও বেশি সিলিন্ডার পাওয়া গিয়েছে। তোফাপুরের পাশেই অর্জুনপুর বাজারে কম করে ২০টি অবৈধ গ্যাসের দোকান চলছে। ধুলিয়ান, ঔরঙ্গাবাদ, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘিতেও গ্যাসের অবৈধ ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে।

ব্যবসাটা এই রকমবিভিন্ন সরকারি গ্যাসের দোকান থেকে বাড়িতে ব্যবহারের জন্য ১৪ কিলোগ্রাম গ্যাস ভর্তি সিলিণ্ডার কিনে আনা হয় প্রথমে। তারপর সেগুলি ৫ কিলোগ্রাম করে ছোট ছোট সিলিণ্ডারে ভরে চড়া দামে বিক্রি করা হয়। বড় সিলিন্ডার থেকে ছোটতে গ্যাস ভরার এই প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তার ন্যূনতম বিধিটুটুও মানা হয় না। প্রশিক্ষণ ছাড়াই অপটু হাতে জেলা জুড়ে এই অবৈধ ব্যবসা চলছে। দেখেও দেখে না পুলিশ। ফরাক্কা ও উমরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটার পরও এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধে তৎপর হয়নি পুলিশ। গ্রেফতার হয়নি একজনও। ধুলিয়ান দমকল কেন্দ্রের ওসি বিষ্ণুপদ রায় বলেন, “এই সব গ্যাসের দোকানে একবার আগুন লাগলে পরপর সিলিন্ডার ফেটে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়। ফরাক্কা এবং উমরপুরের দোকানে প্রচুর সংখ্যায় গ্যাস ভর্তি সিলিণ্ডার মজুত ছিল। সময় মতো দমকল না পৌঁছতে পারলে আশপাশের দোকান ও বাড়িঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ত। তাই স্থানীয় মানুষজনকেই এই সব অবৈধ ব্যবসা বন্ধে সচেতন হতে হবে। ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকেও।” জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “সরকারি গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটর ছাড়া কারও ঘরে একসঙ্গে মজুত বেশি সিলিণ্ডার দেখতে পেলেই তা আটক করতে হবে পুলিশকে। এই ব্যবসা একে তো অবৈধ, তার উপরে বিপজ্জনক। পুলিশকে তো ব্যবস্থা নিতে বলেছিই। বাজারে এই অবৈধ ব্যবসা চললে আশপাশের দোকানদারদের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় খবর দেওয়া উচিত।”

raghunathgang LPG
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy