সেতুর উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি আলোক স্তম্ভ। অথচ সন্ধ্যের পর সেখানে আলো জ্বলে না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বড়ঞার মতো ব্যস্ত এলাকায় দু’টি সেতুতে কোনও আলো না জ্বলায় সন্ধ্যার পর ওই এলাকার দখল নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পূর্ত দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়ঞা ব্লক এলাকার ময়ূরাক্ষীর উপর বিপ্লবী ননী সেতু ও কুঁয়ে নদীর উপর রেজাউল করিম সেতু তৈরি হয়েছে ১৯৯৪ সালে। ওই দু’টি সেতু হওয়ার ফলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। দিন-রাত ওই দুই সেতু দিয়েই যানবাহন চলাচল করে। অথচ সেতুতে বাতি স্তম্ভ থাকলেও কোনও আলো জ্বলে না।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতু উদ্বোধনের পরে একবছরও ঠিকমতো ওই আলোগুলি জ্বলেনি। এক এক করে কিছু বিকল হয়ে পড়ে, বাকিগুলো চুরি হয়ে যায়। অথচ পূর্ত দফতর এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপই করেনি। সন্ধ্যার পর ওই সেতু অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার পরে তা দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে যায়। বসে মদ, গাঁজার আসর। কয়েক বছর আগেও ওই সেতু সংলগ্ন এলাকায় গাড়ি থামিয়ে লুঠপাটের ঘটনাও ঘটেছে। তবে রাতে পুলিশি টহলদারি বাড়ানোয় সম্প্রতি তেমন ঘটনা আর ঘটেনি বলেই দাবি পুলিশের। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ ওই সেতু এলাকায় কড়া নজরদারি রাখায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।”
তবে সন্ধ্যার পর ওই এলাকাতে যে দুষ্কৃতীরা জড়ো হয় সে কথা কবুল করে সুন্দরপুরের প্রধান তৃণমূলের নজরুল হক বলেন, “সেতুগুলি দষ্কৃৃতীদের দখলে চলে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর গ্রামের মানুষ ওদিকে আর কেউ যান না। তবে ওই সেতুর আলোগুলি যাতে ফের জ্বলে সে বিষয়ে পূর্ত দফতরকে জানাব।” বিপ্লবী ননী সেতুতে ১৮টি ও রেজাউল করিম সেতুতে ১০টি বাতিস্তম্ভ রয়েছে। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ওই সেতুতে আলোর ব্যবস্থা করার পরেও কেন সেগুলির এখন এমন বেহাল দশা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কালীচরণ মণ্ডল বলেন, “আগে ওই সেতুতে আলো জ্বলত। নিরাপত্তার পাশাপাশি সন্ধ্যার পর এলাকাটি দেখতেও ভাল লাগত। অথচ এখন সন্ধ্যার পর ওদিকে যেতেই ভয় লাগে। কারণ ওখানে নানা অপকর্ম হয়। আলো থাকলে দুষ্কৃতীরা সেসব কাজ করতে সাহস পেত না।” মুর্শিদাবাদ ২ নম্বর হাইওয়ে বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিক মুস্তফা কালাম বলেন, “ওই সেতু দু’টিতে যাতে ফের আলোগুলি জ্বলে তার ব্যবস্থা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy