মা-বাবার সঙ্গে সৌপ্তিক। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।
দশটা-পাঁচটার স্কুল। তার উপরে সাত জন গৃহশিক্ষক। এত কিছুর মধ্যেও বিকেল হতে না হতেই খেলার মাঠে ছুট। তারপর ঘণ্টা খানেক চুটিয়ে ক্রিকেট বা ফুটবল। মাঝেমধ্যে টেনিস। খেলা পাগল সৌপ্তিক চক্রবর্তী এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে।
নদিয়ার চাকদহ রামলাল অ্যাকাডেমির ছাত্র সৌপ্তিকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৪। বরাবরই স্কুলের পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী সৌপ্তকের এখন পাখির চোখ জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলের দিকে। আগামীতে চিকিৎসক হতে চাওয়া সৌপ্তিম অবশ্য জয়েন্টে ভাল ফল করার ব্যাপারেও আশাবাদী। তার কথায়, “ভেবেছিলাম উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল হবে। কিন্তু এতটা ভাল হবে তা ভাবিনি। আশা করি জয়েন্টের ফলও ভাল হবে।” সুযোগ পেলে চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে গবেষণার জন্য বিদেশেও যেতে চায় চাকদহের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌপ্তিক।
শুক্রবার চক্রবর্তী পরিবারে খুশির জোয়ার। সকাল থেকে সৌপ্তিকদের এক চিলতে উঠোনে পাড়া-পড়শিদের ভিড়। ছেলের সাফল্যের খবর পেয়েই সকাল সকাল অফিস থেকে বাড়ি ফেরেন সেল ট্যাক্সের কর্মী সুকেশ চক্রবর্তী। ছেলের সাফল্যের কথা উঠতেই তিনি বললেন, “ছোট থেকেই সৌপ্তিক পড়াশোনায় ভাল। আমরা জানতাম ও ভাল ফল করবে।” একমাত্র সন্তানের নজরকাড়া সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা রানি চক্রবর্তী সকাল থেকে কী করবেন তা বুঝেই উঠতে পারছেন না। কখনও ছেলেকে জড়িয়ে ধরছেন কখনও বা অভ্যাগতদের জন্য চা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এই আনন্দের মধ্যেও রানিদেবীর অবশ্য একটা আফশোস যাচ্ছে না। কী সেই আফশোস? তাঁর কথায়, “ও বিরিয়ানি খেতে খুব ভালবাসে। কিন্তু খবরটা শোনার পর থেকে এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, রান্না ঘরের যাওয়ার সময়ই পেলাম না।” প্রায় চার দশক পর এই প্রথম রামলাল অ্যাকাডেমির কোনও ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় প্রথম দশে স্থান করে নিল। স্বভাবতই খুশির হাওয়া সৌপ্তিকের স্কুলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy