দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হলেন তিন ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে তেহট্টের পলাশিপাড়া বাজারে। ঘটনায় আহত ওই তিন ব্যক্তি হলেন প্রভাত ঘোষ, প্রভাত মণ্ডল ও শ্রীমন্ত হালদার। তিন জনকেই প্রথমে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে ভ্যানে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন মৃত্যুঞ্জয় দাসবৈরাগ্য নামে এক সোনা ব্যবসায়ী। সেই সময় হেলমেটে মুখ ঢাকা তিন মোটরবাইক আরোহী এসে তাঁর পথ আটকায়। এক দুষ্কৃতী বাইক থেকে নেমে তাঁর ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। মৃত্যুঞ্জয়বাবু চিত্কার শুরু করেন। সেই সময় রাস্তার পাশে এক দোকানে বসেছিলেন প্রভাত ঘোষ। চিত্কার শুনে তিনি ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন। দুষ্কৃতীদের একজনকে জাপটেও ধরেন। তাকে ছাড়াতে মোটরবাইক থেকে বাকি দু’জন নেমে পড়ে। ততক্ষণে তাদের ঘিরে ধরেছেন আরও বেশ কিছু লোকজন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গুলি ছুড়তে ছুড়তে জলঙ্গি নদীর দিকে পালায় তারা। সেই সময় তাদের ছোড়া গুলি এসে ওই তিনজনের গায়ে লাগে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া মোটরবাইকটি উদ্ধার করে।
মাস ছয়েক আগে করিমপুরে কাঁঠালিয়া বাজারে একই কায়দায় মোটরবাইকে চেপে এসে সোনা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল তিন দুষ্কৃতী। সেখানেও দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছিলেন ওই সোনা ব্যবসায়ী। এদিনের ওই ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। পলাশিপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সনজিত্ বিশ্বাস বলেন, “এই রকম ঘটনা আগে কখনোও ঘটেনি। ভর সন্ধ্যায় বাজারে প্রচুর লোকজন থাকেন। সেই সময়ে গুলি চলায় শুধু খরিদ্দার নয় ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আগামী দু’একদিনের মধ্যে মিটিং ডেকে বাজারের নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনা করা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত নাইন এমএম পিস্তল থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। উদ্ধার হওয়া বাইকের সূত্র ধরে খুব তাড়াতাড়ি দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা যাবে বলে পুলিশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy