Advertisement
E-Paper

দোষ পুলিশেরই, বলছে শহর

সম্প্রতি ‘নদিয়া মুর্শিদাবাদ’ সংস্করণে ‘আমার শহর’ প্রতিবেদনে আমরা কৃষ্ণনগরের কিছু না জানা কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল শহরের নানা অবহেলিত দিকও। একইসঙ্গে আমরা জানতে চেয়েছিলাম আপনাদের প্রতিক্রিয়াও। আজ এই শহর সম্পর্কে আপনাদের চিঠির কয়েকটি প্রকাশ করা হল:সম্প্রতি ‘নদিয়া মুর্শিদাবাদ’ সংস্করণে ‘আমার শহর’ প্রতিবেদনে আমরা কৃষ্ণনগরের কিছু না জানা কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল শহরের নানা অবহেলিত দিকও। একইসঙ্গে আমরা জানতে চেয়েছিলাম আপনাদের প্রতিক্রিয়াও। আজ এই শহর সম্পর্কে আপনাদের চিঠির কয়েকটি প্রকাশ করা হল

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১৫

মাঠে আলো নেই কেন?

পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই কৃষ্ণনগরে দুষ্কৃতীদের এমন বাড়বাড়ন্ত। বেলেডাঙার আশপাশ যেমন এক শ্রেণির আইন-অমান্যকারীদের জন্য মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে, তেমনই কৃষ্ণনগরের উত্তর প্রান্তের অবস্থাও এমন কিছু ভাল নয়। প্রশাসন জানে। তবে, যেন কোনও অদৃশ্য সংকেতের মাধ্যমে দুষ্কৃতীরা জেনে যাচ্ছে আগে থেকেইআজ পুলিশ আসবে। কী করে হয়? থানায় অভিযোগ জানান, নিতেই চাইবে না বা আসল অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকার করবে না। নিজেদের মতো করে কিছু হয়তো পরে লিখবে। হয়তো একটা জি ডি নম্বর দেবে এবং যার বা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে আগাম জানিয়েও দেবে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিয়ে দেবে। নগেন্দ্রনগরে, কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের ঠিক পিছনে একটি দীর্ঘ দিনের খাল রয়েছে।

সমাজবিরোধী কার্যকলাপ আটকাতে শক্তিনগরের মাঠে বসেছে আলো। —নিজস্ব চিত্র।

খালের পরে খেলার মাঠ। খালটি বেআইনি ভাবে বোজানো হয়েছে। কলেজের পিছন দিকের জঙ্গলাকীর্ণ সুড়িপথ দিয়ে বোজানো খালের উপর দিয়ে খেলার মাঠে অবাধ যাতায়াত করে অনেকেই। কলেজের সঙ্গে যুক্ত চালতেতলা খাল আর ইউনাইটেড রেড স্টার্স ক্লাবের খেলার মাঠ (যা শিমূলতলা খেলার মাঠ নামে পরিচিত)। যা সন্ধ্যার পর থেকেই মদ, জুয়া, সাট্টা, গাঁজা সেবনের খোলামেলা জায়গা। আলো লাগানোর জন্য পুরসভাকে বারবার জানিয়েও ফল হয়নি। মাঠের আনাচে-কানাচে সমাজবিরোধীদের ঠেক। লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা পাছে খারাপ কিছু দেখে ফেলতে হয় তাই জানালা, দরজা বন্ধ রাখেন। কয়েক দিন আগেই জনৈক শিক্ষক মহাশয় তার বাড়ির পাশে মদের প্রকাশ্য আসর বসতে দেখে আপত্তি জানিয়ে নিজেই আবার আক্রমণের ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন। কয়েক মাস আগে মহকুমাশাসককে লিখিত ভাবে অবস্থার কথা জানালে তিনি আশ্বস্ত করেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার। কিন্তু কোনও পরিবর্তন আজও লক্ষ করা যায়নি। পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তা কী বার্তা দিচ্ছে সমাজকে?

খগেন্দ্রকুমার দত্ত, সমাজকর্মী

আমরাও দায়ী

নদিয়া মুর্শিদাবাদ বিভাগে প্রকাশিত ‘রাতের রাস্তায় ভয়ে ভয়ে হাঁটে কৃষ্ণনগর’ (১৮ নভেম্বর ২০১৪) প্রতিবেদনটি অত্যন্ত সময়পোযোগী। এই আধুনিক উন্নত সমাজে প্রয়োজনেও মানুষ পথে বেরোতেও ভয় পাচ্ছে। শুধু রাতে নয়, দিনের আলোতেও কৃষ্ণনগরে অনেক অসামাজিক কাজ সংগঠিত হয়েছে এবং হচ্ছেও। সে কথা পুলিশ-প্রশাসন-রাজনৈতিক নেতা-শহরের মানুষ সকলেই জানে। অথচ রহস্যজনক ভাবে সকলেই চুপ! রাজনৈতিক নেতা কিংবা প্রশাসনের পাশাপাশি আমরাও কিন্তু এর জন্য কম দায়ী নই। প্রতিবাদ তো দূরের কথা, আমরাও তো অনেক কিছু দেখেও দেখছি না। নাগরিক সচেতনতা ও প্রতিরোধের অভাবে অনেক অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। ইদানিং বহু অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেধাবী যুবকেরাও। এটা কম উদ্বেগের নয়।

স্বদেশ রায়, লেখক

মদ্যপদের আখড়া

কৃষ্ণনগরের ‘রাতের কিছু রাস্তার’ ঘটনা জানান দিয়ে দেয় অন্য রাস্তাগুলি কতটা নিরাপদ! কিছু দিন আগেও শক্তিনগর খেলার মাঠটি ছিল মদ্যপদের আখড়া। বাধ্য হয়ে পুরসভা মাঠের মধ্যে বাতিস্তম্ভ লাগিয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেই আখড়া বন্ধ হয়েছে কি? রাতের রাস্তা তো বটেই, রাতের স্কুলবাড়ি, ফাঁকা অন্ধকার মাঠ, রাস্তার পাশে বেশ কিছু চায়ের দোকানের সন্ধ্যাকালীন ঠেকে অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে। প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ না করলে এর পরিণতি কিন্তু আরও খারাপ হবে।

পার্থপ্রতিম কুণ্ডু, প্রধান শিক্ষক

amar shohor krishnanagar letters
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy