Advertisement
১৮ মে ২০২৪

ধর্ষণে ধৃত কুলগুরু, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া

বছর পনেরোর এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ‘কুলগুরু’। শনিবার রাতে বর্ধমানের মেমারি থেকে বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ওরফে বীরানন্দ ঠাকুর নামে বছর পঞ্চান্নর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সহপাঠিনীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৪ ০১:৫৭
Share: Save:

বছর পনেরোর এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ‘কুলগুরু’। শনিবার রাতে বর্ধমানের মেমারি থেকে বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ওরফে বীরানন্দ ঠাকুর নামে বছর পঞ্চান্নর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সহপাঠিনীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

মেমারি থেকে ধৃত বীরানন্দ ঠাকুর এখন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে থাকেন। বর্ধমান, হুগলি, নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর শিষ্যরা রয়েছেন। নদিয়ার গাংনাপুরের ঘোলা এলাকার ওই কিশোরীর বাবা-মা-ও বীরানন্দের কাছে দীক্ষাপ্রাপ্ত। মেয়ের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ সারাতে ‘গুরুদেবে’র দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। রোগ সারানোর অছিলায় বিভিন্ন সময় কিশোরীকে ডেকে পাঠাতেন বীরানন্দ। অভিযোগ, এরই মধ্যে একবার একা পেয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। মেয়েটি প্রথমে ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। সম্প্রতি সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। দিন কয়েক আগে কিশোরীর বাবা ‘গুরুদেবে’র বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। পুলিশে অভিযোগ হয়েছে জেনে গা ঢাকা দেন বীরানন্দ। পরে অন্য এক শিষ্যের কাছে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ জানান, ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে মহকুমা হাসপাতালে।

নদিয়ারই কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি কলেজ থেকে ধৃত ছাত্রটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন। বাড়ি বিহারের বারাউনি এলাকায়। কৃষ্ণনগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় মেসে থাকতেন ওই ছাত্র। তরুণী ছাত্রীটির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্তোষপুরে। তিনি কলেজের হস্টেলে থাকতেন। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। সেই সূত্রে শুক্রবার দুপুরে পড়াশোনার কিছু কাগজপত্র নিতে ছাত্রের মেসবাড়িতে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। সেখানে একা পেয়ে ওই ছাত্র তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে শনিবার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। তাঁর আরও অভিযোগ, ঘটনার সময় ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন মেসের অন্য দুই আবাসিক। রাতে মূল অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রবিবার ধৃতকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়। এ দিনই কৃষ্ণনগর জেলা সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

memari rape birananda thakur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE