তাপস মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
এই প্রথম ভোটের ময়দানে তিনি। মঙ্গলবার আহেলিতে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তাপস মণ্ডলের প্রথম প্রচারে তাই দল বেঁধে হাজির থাকলেন তৃণমূলের নদিয়া জেলা নেতৃত্ব।
গত ৫ মার্চ তৃণমূলের প্রথম প্রার্থী তালিকায় রানাঘাট আসনে নাম ঘোষণা হয়েছিল সৌগত বর্মনের। সরকারি চিকিৎসক সৌগতবাবু থাকেন কৃষ্ণনগরে। রানাঘাটে তেমন যাতায়াত নেই। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছিল দলে। এরই মধ্যে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় শিরদাঁড়ায় চোট পান সৌগতবাবু। শীঘ্রই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে ওই আসনে প্রার্থী হিসাবে মোহনপুর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক তাপস মণ্ডলের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বছর চল্লিশের তাপস মণ্ডল কল্যাণীর ‘বি’ ব্লকের বাসিন্দা। আদতে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের লোক হলেও ছাত্র হিসেবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর থেকে প্রায় ১৮ বছর কল্যাণীতে রয়েছেন। সেই সুবাদে এলাকায় তাঁর পরিচিতি আছে। মুকুলবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাপসবাবু বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলে আচার্যের প্রতিনিধি। তৃণমূল প্রভাবিত বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমিতির কার্যকরী সদস্যও।
এই প্রথম ভোটে লড়ছেন তাপসবাবু। রাজনীতির লোক বলে নয়, ভাল শিক্ষক হিসাবেই এলাকায় পরিচিতি তাঁর। দলীয় প্রার্থীকে দেখতে এ দিন আহেলির কর্মিসভায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল ভালই। দুপুর ১টা নাগাদ সভায় আসেন তাপসবাবু। তিনি বলেন, “আমি জিতছিই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন শুরু করেছেন তাতে সামিল হওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য।”
রানাঘাটের আহেলিতে তাপসবাবুর ‘অভিষেক সভা’য় এ দিন উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত-সহ একাধিক বিধায়ক এবং জেলার নেতৃবৃন্দ। গৌরীবাবু বলেন, “গতবার এই কেন্দ্র থেকে আমরা এক লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছিলাম। এ বার কমপক্ষে আড়াই লক্ষ ভোটে আমরা জিতব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy