বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র। নিজস্ব চিত্র।
‘বহরমপুরে জল নাই। অধীর তোমার জবাব চাই’-- লেখা ফেস্টুন গলায় ঝুলিয়ে উল্টানো বালতি হাতে দাঁড়িয়ে ইন্দ্রনীল সেন। বহরমপুর পুরসভার গেটের সামনে লালদিঘির রাস্তায় তখন তৃণমূল প্রার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর ও সুব্রত সাহা। রয়েছেন কয়েকশো তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকও।
হুমায়ুনের দাবি, পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছেন বহরমপুরের ২৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নাগরিক। তিনি বলেন, “জল সঙ্কট তৈরি করে লালন সেবা সমিতির নামে বাড়ি বাড়ি জল বিক্রি করা হচ্ছে। এই লালন সেবা সমিতির মালিক কে? আমরা জানি। কিন্তু বহরমপুরের মানুষের অজানা।”
এ দিন শক্তিপুর থেকে ফিরে বহরমপুর গোরাবাজারে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে অধীরবাবু বলেন, “জল বিক্রির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। ভোটের মুখে বহরমপুরের মানুষকে মিথ্যা বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “ইউনেস্কো ২০২০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলি থেকে জলবাহিত রোগ নির্মূল কররা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। রাজ্যের একমাত্র পুরসভা হিসেবে বহরমপুর ওই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত। ইউনেস্কো সাহায্য করছে, পাল্টা পুরসভাও তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় পরিশ্রুত পানীয় জল লিটার প্রতি ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছে পুরসভা। আর লালন সেবা সমিতি ওই পানীয় জল বিনা পয়সায় প্রতি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব বহণ করছে। এখন এই বিষয়টি নিয়ে ভোটের মুখে ফায়দা তুলছে যারা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনায় ধরা পড়ছে। বহরমপুরের মানুষ সব জানেন। তারা সব বোঝেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy