দলের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানালেন কৃষ্ণনগর শহরের সিপিএম নেতা অরূপ দাস।
মঙ্গলবার সকালেই সিপিএমের কৃষ্ণনগর শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক সমর দত্তকে চিঠি দিয়ে তাঁর সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন অরূপ দাস। বর্তমানে অরূপবাবু সিপিএমের কৃষ্ণনগর শহর লোকাল কমিটির ও যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর কৃষ্ণনগর জোনাল কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, “সিপিএমের নেতারা তাঁদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। তাঁরা মুখে যা বলেন তা বাস্তবে মেনে চলেন না। গতকাল তো নবান্নে গিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একপ্রকার আত্মসমর্পণ করে এলেন। একটা আদর্শের জায়গা থেকে আমরা এই দলে এসেছিলাম। কিন্তু সেই আদর্শ থেকে আজ সিপিএম অনেক দূরে। তাই বাধ্য হয়েই দল ছাড়তে হল। আমার ইস্তফা পত্র আমি লোকাল কমিটির সম্পাদকের হাতে তুলে দিয়েছি।” সিপিএমের জেলা কমিটির সম্পাদক সুমিত দে অবশ্য জানিয়েছেন, “দলের কোনও সদস্যের ইস্তফা দেওয়ার কথা আমার জানা নেই।” কৃষ্ণনগর শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক সমর দত্তও বলেন, “অরূপবাবুর কাছ থেকে এমন কোনও চিঠি আমি পাইনি।”
একদা দাপুটে নেতা অরূপবাবু একসময় এসএফআই ও ডিওয়াইএফ-এর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। দু’টি সংগঠনেই তিনি কৃষ্ণনগর জোনাল কমিটির সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন। ২০০৭ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে তিনি শহরের ভিতরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে লক্ষ করে গুলিও ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে গোটা শহর জুড়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছিলেন তাঁর অনুগামী কয়েকশো যুবক। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কৃষ্ণনগর পুরসভায় ঢুকে তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। গোটা শহর জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পর থেকে অবশ্য দলে তাঁর প্রভাব কমতে থাকে। ডিওয়াইএফআই-এর জোনাল কমিটির সম্পাদকের পদ থেকে তাঁকে সরে যেতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল বলে খবর। তাহলে কি এবার তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? এমন সম্ভাবনার কথা ঘুরে বেড়াচ্ছে শহর জুড়ে। অরূপবাবু অবশ্য বলেন, “ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আমি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy