Advertisement
E-Paper

রাজ্য কীর্তন উৎসব শুরু হল নবদ্বীপে

সেই কবে এ পথে নবদ্বীপে নগর পরিক্রমায় বের হতেন সপার্ষদ চৈতন্যদেব। সবার আগে তিনি। অনুগামী আ-দ্বিজচণ্ডালের কণ্ঠে সমবেত কীর্তনের সুরে মুখর হত নগরীর পথ। নবদ্বীপের ঘাটে নৌকা ভেড়ানো দূর দেশের ‘কীর্তনমুগ্ধ’ বণিক ফেরার পথে অন্য পসরার সঙ্গে বয়ে নিয়ে যেতেন চৈতন্য রেনেসাঁর বার্তাও। সেই শুরু। পাঁচশো বছরের আগে শুরু হওয়া সেই সংকীর্তনের ধারা এখনও বহমান বঙ্গে, নবদ্বীপে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৪৯
রাজ্য কীর্তন উৎসব ২০১৪। মঞ্চে সরস্বতী দাস ও হরেকৃষ্ণ মণ্ডল। ছবিটি তুলেছেন সুদীপ ভট্টাচার্য।

রাজ্য কীর্তন উৎসব ২০১৪। মঞ্চে সরস্বতী দাস ও হরেকৃষ্ণ মণ্ডল। ছবিটি তুলেছেন সুদীপ ভট্টাচার্য।

সেই কবে এ পথে নবদ্বীপে নগর পরিক্রমায় বের হতেন সপার্ষদ চৈতন্যদেব। সবার আগে তিনি। অনুগামী আ-দ্বিজচণ্ডালের কণ্ঠে সমবেত কীর্তনের সুরে মুখর হত নগরীর পথ। নবদ্বীপের ঘাটে নৌকা ভেড়ানো দূর দেশের ‘কীর্তনমুগ্ধ’ বণিক ফেরার পথে অন্য পসরার সঙ্গে বয়ে নিয়ে যেতেন চৈতন্য রেনেসাঁর বার্তাও। সেই শুরু। পাঁচশো বছরের আগে শুরু হওয়া সেই সংকীর্তনের ধারা এখনও বহমান বঙ্গে, নবদ্বীপে।

শুক্রবার সকালে নবদ্বীপেই রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের আয়োজনে নবদ্বীপ পুরসভার সহযোগিতায় শুরু হল ‘রাজ্য কীর্তন উৎসব- ২০১৪’। তিন দিন ধরে উৎসব চলবে। যার সূচনা হল বর্ণাঢ্য নগর পরিক্রমা দিয়ে। ছিল সরস্বতী দাসের কণ্ঠের গান ও হরেকৃষ্ণ মণ্ডলের খোলবাদ্য। উৎসবে গাওয়া হবে বিভিন্ন ধারার বাংলা কীর্তন। থাকবে ঝাড়খণ্ডী কীর্তন, রাজবংশি কীর্তন, খ্রিস্টীয় কীর্তন, ঢপ কীর্তন, মতুয়া কীর্তনও। আলোচনা সভায় থাকবেন গবেষক ও শিল্পীরা। এতে বাংলা কীর্তনের বিবর্তনের ইতিহাস নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে থাকছে কীর্তনের সহযোগী বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও।

উদ্বোধনের পর সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় সরস্বতীদেবীকে। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “চৈতন্য কীর্তনকে জাতি ধর্মের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছিলেন। রাজ্য কীর্তন উৎসবও এক বৃহত্তর ক্ষেত্রে সম্প্রীতির বার্তা বহন করছে।” শহরের মন্ত্রী পুণ্ডরীকাক্ষ সাহার বক্তব্য, “চৈতন্যদেব গণদেবতার জাগরণের মন্ত্র হিসেবেই কীর্তনকে বেছে নেন। তাঁর জন্মভুমিকে তাই বেছে নেওয়া হয়েছে কীর্তন এবং কীর্তনের শিল্পীদের উন্নয়নের জন্য।” স্বপনবাবু জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার নবদ্বীপে কীর্তনের গুরুকুল শুরু করতে চলেছে। সেই গুরুকুলের প্রধান হিসাবে সরস্বতী দাসকে দায়িত্ব দেওয়ায় হল। চৈতন্যের বিদ্যাশিক্ষার গ্রাম বিদ্যানগরেও একটি পালাকীর্তনের কেন্দ্র শুরু করা হবে। পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা জানিয়েছেন, গুরুকুলের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার ব্যবস্থা করবে নবদ্বীপ পুরসভা। সরস্বতীদেবীর কথায়, “নবদ্বীপের একটি বড় মাপের কীর্তন চর্চা কেন্দ্র হোক এই স্বপ্ন আমার বহু দিনের। আমি ছয় বছরের কীর্তনের একটি পাঠ্যক্রমও তৈরি করে রেখেছি। আমি প্রস্তুত এই দায়িত্ব নিতে।”

kirtan festival nabadwip
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy