Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

সালারে কংগ্রেস নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত পুলিশ

থানায় আলোচনা করতে ডেকে ব্লক কংগ্রেসের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল সালার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। আহত সালার ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নাসিরুল হক কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার দুপুরের ওই ঘটনার পর উত্তেজিত কংগ্রেস সমর্থকরা থানায় বিক্ষোভ দেখান ও সালার-কাটোয়া রাজ্যসড়ক অবরোধ করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কান্দি শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৪ ০০:১৫
Share: Save:

থানায় আলোচনা করতে ডেকে ব্লক কংগ্রেসের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল সালার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। আহত সালার ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নাসিরুল হক কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার দুপুরের ওই ঘটনার পর উত্তেজিত কংগ্রেস সমর্থকরা থানায় বিক্ষোভ দেখান ও সালার-কাটোয়া রাজ্যসড়ক অবরোধ করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুনাশী গ্রামের এক কংগ্রেসকর্মী রাস্তা দখল করে বাড়ি তৈরি করছেন অভিযোগ তুলে বাড়ি তৈরিতে বাধা দেন প্রতিবেশী এক তৃণমূল সমর্থক। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।

এদিন সকাল দশটা থেকে ওসি সুবীর পালের উপস্থিতিতে বৈঠক চলছিল। সেইসময় সুবীরবাবুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস নেতা নাসিরুল। অভিযোগ, ওসির নির্দেশে কয়েকজন পুলিশ নাসিরুলকে মারধর করে আটক করে রাখে। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ওই নেতা সংজ্ঞা হারালে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নাসিরুলের স্ত্রী নার্গিস বেগমের অভিযোগ, “ওসি তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার স্বামীকে থানায় ডেকে এনে মারধর করেছে।”

এই প্রেক্ষিতে সালার ব্লক কংগ্রেস ওই থানার ওসি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কান্দি মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সালার ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি খাদেমই দস্তোগির বলেন, “আমাদের নেতা অধীর চৌধুরী ও নাসিরুলদের মতো একনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতাদের জন্যই এই জেলায় কংগ্রেস এখনও শক্তিশালী। রাজ্যের শাসকদল নিজেদের শক্তির বহর বাড়াতে জেলা জুড়ে পুলিশকে কাজে লাগাচ্ছে। সালারেও একই ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তি না হলে আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হব।”

কংগ্রেস নেতার দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে সালার ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মোস্তাফিজুল রহমান বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে আমাদের নাম জড়িয়ে দিয়ে কংগ্রেস নোংরা রাজনীতি করছে।”

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “একটি বাড়ি তৈরি করাকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর পেয়ে দু’পক্ষকে ডেকে বৈঠক করছিলেন ওই থানার ওসি। বৈঠক চলাকালীন আচমকা ওই কংগ্রেস নেতা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। রক্তচাপ কমে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করায় তাঁকে আটক করা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE