Advertisement
২৬ মে ২০২৪

হুমায়ুনের নালিশে নজর প্রশাসনের

জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুন কবীর শক্তিপুর থানার ওসি তুহিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যে ‘পক্ষপাতমূলক’ অভিযোগ এনেছেন, তা খতিয়ে দেখবে বলে জানাল জেলা প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০৭
Share: Save:

জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুন কবীর শক্তিপুর থানার ওসি তুহিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যে ‘পক্ষপাতমূলক’ অভিযোগ এনেছেন, তা খতিয়ে দেখবে বলে জানাল জেলা প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

গত ১ এপ্রিল শক্তিপুরের কাটাইকোনা এবং সোমপাড়া-২ পঞ্চায়েতের মিল্কিতে তৃণমূলের দু’টি পথসভায় মাইক বাজানোর অভিযোগ করে কংগ্রেস। অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। বুধবার বেলডাঙা-২ বিডিও-র তদন্ত রিপোর্টে ওই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। তার পরেই বৃহস্পতিবার সভার উদ্যোক্তা যিনি, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শক্তিপুর থানাকে নির্দেশ দেয় প্রশাসন। বহরমপুরের এসডিও তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার সুপ্রীয় দাস বলেন, “বেলডাঙা-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বামদেব দত্ত ওই দুটি সভার উদ্যোক্তা ছিলেন বলে বিডিও-র রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে তদন্ত রিপোর্ট শক্তিপুর থানার ওসি-র কাছে পাঠিয়ে দিই।”

শক্তিপুর থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে বামদেব ছাড়াও হুমায়ুন কবীর-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১ (এফ) ও ১৮৮ ধারায় ওই মামলা দায়ের করে। বিষয়টি জানার পরেই শনিবার শক্তিপুর থানার ওসি তুহিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে হুমায়ুন কবীর জেলা প্রশাসনের কাছে পাল্টা অভিযোগ করেন। ওই বিষয়ে বহরমপুর মহকুমাশাসকের কাছেও পৃথক অভিযোগ দায়ের করে জেলা তৃণমূল।

হুমায়ুনের বক্তব্য, “শক্তিপুর থানার পুলিশ গত ৩০ মার্চ ওই দুটি সভার অনুমতি দেয়। দুটি সভাতেই ওসি তুহিন বিশ্বাস নিজে হাজির ছিলেন। মাইক বাজিয়ে সভা করা যাবে না, তখন তিনি আমাদের জানাতে পারতেন। কিন্তু জানাননি। এমনকী মাইকও বাজেয়াপ্ত করেননি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ প্রশাসন দেয়নি। অথচ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হল।” ওসি-কে শক্তিপুর থানা থেকে অবিলম্বে বদলি করার দাবি জানিয়েছেন হুমায়ুন। এ দিকে, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই শনিবার বহরমপুর সিজেএম আদালতের ফার্স্ট কোর্টে হাজির হয়ে জামিনে মুক্তি পান। হুমায়ুন কবীর ও সভার উদ্যোক্তা তথা বেলডাঙা-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বামদেব অবশ্য জামিন নিতে অস্বীকার করেন। হুমায়ুনের কথায়, “আমি ও বামদেব জামিন নেব না বলে ঠিক করেছি। ক্ষমতা থাকলে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

humayun kabir y ratnakar rao ias baharampur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE