E-Paper

শংসাপত্র জাল, দাবি নন্দীগ্রাম-মাদ্রাসার

গুমগড় হাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই শংসাপত্রে যে স্ট্যাম্প এবং প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে, তা পুরোটাই জাল।

সৌমেন মণ্ডল

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ ০৭:৪৫
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ধৃতের স্কুল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট।

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ধৃতের স্কুল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট।

নাম শুভ দাস। ধরা পড়েছেন গুজরাতের সুরাতে। এই সন্দেহভাজন বাংলাদেশির কাছ থেকে পাওয়া স্কুলের ‘ট্রান্সফার সার্টিফিকেটে’ রয়েছে নন্দীগ্রামের দাউদপুরের গুমগড় হাই মাদ্রাসা (উচ্চ মাধ্যমিক)-এর নাম। শুভর গ্রেফতারির ঘটনা এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করে তার সঙ্গে মাদ্রাসার শংসাপত্র জুড়ে রবিবারই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যদিও সেই হাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, শংসাপত্রটি জাল।

শুভ দাসের বাবা সুনীল দাস। বাড়ি, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে, থানা চাকদহ। শুভ ২০০৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে নন্দীগ্রামের হাই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিল ও ২০১০ সালে সেখান থেকে ‘ট্রান্সফার সার্টিফিকেট’ নিয়েছিল বলে শংসাপত্রে রয়েছে। সোমবার গুমগড় হাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০০৬ সালে এই নামে কোনও ছাত্র তাঁদের ওখানে ভর্তি হয়নি। ২০১০ সালে ওই নামে কাউকে ‘ট্রান্সফার সার্টিফিকেট’ও দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া, তখন স্কুলে হস্টেল ছিল না। তাই নদিয়ার ছাত্র কেন এখানে ভর্তি হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।

গুমগড় হাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই শংসাপত্রে যে স্ট্যাম্প এবং প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে, তা পুরোটাই জাল। ওই হাই মাদ্রাসার তৎকালীন প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণগোপাল দাস বলেন, “শংসাপত্রে যে হাতের লেখা রয়েছে, তা আমার নয়। ওই সইও আমার নয়।”

ওই হাই মাদ্রাসার বর্তমান প্রধান শিক্ষক মহম্মদ রবিউল ইসলাম খানও বলছেন, “২০০৬ সালের নথি দেখে জানলাম, শুভ দাস নামে কোনও ছাত্র আমাদের এখানে ভর্তি হয়নি। ২০১০ সালের রেকর্ডেও এমন নাম নেই।” তাঁর দাবি, ওই শংসাপত্রে যে স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিও এই হাই মাদ্রাসার নয়।

তবে ঠিক-ভুলে না গিয়ে, সুকান্তের পোস্টের প্রেক্ষিতে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক মেঘনাদ পালের দাবি, “পশ্চিমবঙ্গে যে বাংলাদেশিদের জন্য মুক্তাঞ্চল তৈরি হচ্ছে, এটা তার সব থেকে বড় প্রমাণ। এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা জড়িয়ে রয়েছে।”

তৃণমূলের নন্দীগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের বক্তব্য, “২০১০ সালে তো পশ্চিমবঙ্গে বাম সরকার। তখন সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক বা জ়োনাল সম্পাদকের চিরকুটে এই কাজ হয়েছিল কি না, তদন্ত করে দেখা হোক।”

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পরিতোষ পট্টনায়কের দাবি, “২০০৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল। ফলে, তৃণমূল নেতাদের যোগসাজশেই এ সব হয়েছে বলে মনে হয়।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nandigram Madrasha

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy