Advertisement
E-Paper

পরিবেশবন্ধু জ্বালানি যথেষ্ট নয় রাজ্যে, প্রশ্নে প্রশাসন

পরিবেশবান্ধব জ্বালানির জোগানে বঞ্চিত কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ। পরিবেশকর্মীদের একাংশের দাবি, কলকাতার দূষণ কমানোর লক্ষ্যে অবিলম্বে এই রাজ্যে কয়লা থেকে প্রাপ্ত মিথেন (সিবিএম), কমপ্রেস্ড ন্যাচারাল গ্যাস বা সিএনজি-র মতো প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগান বাড়াতে কেন্দ্র ও রাজ্য দু’পক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৫ ০৩:১৭

পরিবেশবান্ধব জ্বালানির জোগানে বঞ্চিত কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ। পরিবেশকর্মীদের একাংশের দাবি, কলকাতার দূষণ কমানোর লক্ষ্যে অবিলম্বে এই রাজ্যে কয়লা থেকে প্রাপ্ত মিথেন (সিবিএম), কমপ্রেস্ড ন্যাচারাল গ্যাস বা সিএনজি-র মতো প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগান বাড়াতে কেন্দ্র ও রাজ্য দু’পক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে।

শুক্রবার পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেওয়া এখন বিলাসিতা।’’ আজ, শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির প্রসঙ্গও আলোচনায় থাকুক বলে মত সুভাষবাবু ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলা লড়া আইনজীবী কল্লোল গুহঠাকুরতার। তাঁদের কথায়, ‘‘পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের উদাসীনতায় শহরবাসী এখন খোলা আকাশের নীচে এক গ্যাস চেম্বারে থাকছেন।’’

পর্ষদের হিসেবে, অক্টোবর থেকে মার্চ কলকাতার বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ মানুষের সহনসীমার চেয়ে বেশ বেশি থাকে। তা শরীরের পক্ষে ভীষণই ক্ষতিকর বলে পর্ষদের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন। ওই দূষণের প্রধান উৎস গাড়ির ধোঁয়া। আদালতের নির্দেশে বছর পাঁচেক কলকাতার সব অটো এলপিজি-তে চলছে। কিন্তু দিল্লির মতো সিএনজি-চালিত অটো নামানো যায়নি।

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা পরিবেশবিজ্ঞানী কল্যাণ রুদ্র বলেন, ‘‘সিএনজি-র নেটওয়ার্ক এ রাজ্যে তৈরি হয়নি। এমন জ্বালানির ব্যবহার যত বাড়বে, কলকাতার বায়ুদূষণও তত কমবে।’’

পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের ৫টি প্রকল্প ২০০৭ সালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিল উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর থেকে হলদিয়া পর্যন্ত ২০৫০ কিমি পাইপলাইন। বাকি ৪টি প্রকল্প শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পটি এখনও পরিকল্পনার স্তরেই। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, দেশে কয়লা থেকে প্রাপ্ত মিথেন-এর ৪৫.৫৩ শতাংশই আসে পূর্ব ভারত থেকে। কিন্তু আসানসোল ও দুর্গাপুরের অল্প কিছু জায়গা ছাড়া কলকাতা তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের অন্য জায়গার জন্য সিবিএম-এর জোগান ও ব্যবহার কোনওটাই নেই।

আইনজীবী কল্লোলবাবুর বক্তব্য, “বাংলাদেশে সিএনজি-র ব্যবহার ৯০ শতাংশ ছুঁয়েছে। বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব এলেও সাড়া মেলেনি।”

Nature friendly fuel Kolkata west bengal Trinamool tmc State government mamata bandopadhyay narendra modi chief minister prime minister
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy