ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে গতি আনতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘শিল্পের সমাধানে শিবির’ কর্মসূচি বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি নবান্নের। রাজ্য জুড়ে ১০ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে মোট ১,৭৩৩টি শিবিরে অংশ নিয়েছেন ২,১৪,৫৫৪ জন উদ্যোক্তা ও সাধারণ অংশগ্রহণকারী। প্রশাসনের মতে, উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা, তথ্য ও সুযোগসুবিধা এক ছাদের নীচে পৌঁছে দেওয়াই এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য। শিল্পে সমাধানে শিবিরগুলিতে যে ভাবে রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ লক্ষ করা গিয়েছে, তাতে তৃপ্ত ক্ষুদ্র, ছোট মাঝারি কুটিরশিল্প দফতর। তাদের মতে, আগামী কয়েক দিনে এই অংশগ্রহণ দ্বিগুণেরও বেশি হবে।
এই শিবিরের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, উদ্যোক্তা নিবন্ধন, হস্তশিল্প ও ঐতিহ্যবাহী পেশায় যুক্তদের তালিকাভুক্তি, অনলাইন পরিষেবা এবং আর্থিক সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের ঋণ প্রদান, সংখ্যালঘুদের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সুযোগ, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং কর্পোরেট ও সরকারি স্কিম সম্পর্কিত পরামর্শও মিলছে এই শিবিরে।
আরও পড়ুন:
রাজ্য সরকারের দাবি— এই উদ্যোগ এমএসএমই খাতে নতুন গতি এনে ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদের আর্থিক ভাবে শক্তিশালী করছে। ইতিমধ্যেই বহু উদ্যোক্তা সরাসরি পরিষেবা পেয়েছেন এবং আরও অনেকে আবেদন করেছেন।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রান্তিক মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে ভোটব্যাঙ্ক পোক্ত করতেই এ ধরনের প্রকল্পে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাদের বক্তব্য, প্রশাসনিক সেবাকে নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার করা হচ্ছে। এই অভিযোগে অবশ্য রাজ্য প্রশাসন বিপরীত অবস্থান নিয়েছে। তাদের বক্তব্য, “সরকারি পরিষেবা পাওয়া মানুষের অধিকার। সরকার সেই অধিকার পৌঁছে দিতেই কাজ করছে, নির্বাচন উদ্দেশ্য নয়।” রাজনৈতিক তর্ক চললেও প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীদের ভিড় দেখে প্রশাসনের দাবি, এই উদ্যোগই ভবিষ্যতে রাজ্যের শিল্পকে শক্ত ভিত দেবে।