Advertisement
E-Paper

বছরে দু’বার নিট-জয়েন্ট, সুবিধা পড়ুয়াদেরই

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮ ০৬:৫৫
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৯ সাল থেকে বছরে দু’বার করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স-মেন (ইঞ্জিনিয়ারিং) ও নিট (ডাক্তারি) পরীক্ষায় বসতে পারবেন পড়ুয়ারা। এর ফলে প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলিতে ভাল ফল করার একটি বাড়তি সুযোগ পেতে চলেছেন পরীক্ষার্থীরা। আগামী বছর থেকে অনলাইনে ওই পরীক্ষা নেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। ভর্তির কাউন্সেলিংয়ের সময়ে দু’টি পরীক্ষার মধ্যে যেটির নম্বর বেশি, চাইলে সেই নম্বরটি ব্যবহার করারও সুবিধে পাবেন পড়ুয়ারা।

গত নভেম্বরে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি নেওয়ার জন্য একটি পৃথক সংস্থা গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা। গঠিত হয় এনটিএ। তাদের কাজ হল, দ্বাদশ শ্রেণির পর থেকে জাতীয় স্তরে যে প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি হয়, সেগুলির প্রশ্নপত্র তৈরি, পরীক্ষা নেওয়া এবং খাতা দেখা। উদ্দেশ্য, সিবিএসই ও এআইসিটিই-র মতো সংস্থাগুলির উপর থেকে পরীক্ষার চাপ কমানো। ঠিক হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন), ডাক্তারির জন্য নিট, ম্যানেজমেন্টের জন্য সি-ম্যাট এবং ইউজিসি-নেটের বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করবে এনটিএ। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরে নেটের বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা রয়েছে। সেটিই হবে এনটিএ-র প্রথম পরীক্ষা।

দীর্ঘ দিন ধরেই ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য বছরে দু’বার প্রবেশিকা পরীক্ষার দাবি তুলছিলেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। ঠিক হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট হবে জানুয়ারি ও এপ্রিলে। ডাক্তারির জন্য নিটের পরীক্ষা হবে ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘একটা পরীক্ষা খারাপ মানেই সে বছরটি নষ্ট— এই ধারণা পাল্টাতেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দু’টির মধ্যে যে পরীক্ষার ফল ভাল হয়েছে, সেটি কাউন্সেলিংয়ে দেখাতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা।’’ নিয়ম বদলালেও পরীক্ষার সিলেবাস একই থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে জয়েন্ট (মেন)-এর দায়িত্ব এনটিএ-র হাতে গেলেও আইআইটি-তে ভর্তির জন্য জয়েন্ট (অ্যাডভান্সড) পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি ও খাতা দেখার দায়িত্ব থাকছে আইআইটি (কানপুর)-এর হাতেই।

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট) এর উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষা দু’বার দেওয়া যেতে পারলে তো ভালই হবে। এক জন পড়ুয়া প্রথম বারে ভাল করতে না পারলে পরের বার ভাল করতে পারবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তথা ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘একটি নির্দিষ্ট দিনে একটি পরীক্ষা কারও খারাপ হতেই পারে। দ্বিতীয় সুযোগে সে ভাল করতেই পারে।’’ রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন ‘‘এতে ভালই হবে। আরও বেশি পড়ুয়া সুযোগ পাবেন। আমাদের সময়ও এমন নিয়ম ছিল।’’

HRD Joint Entrance NEET
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy