সঞ্জয় রায়
স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তে সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় অ্যাপোলো হাসপাতালের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার সারা দিন স্বাস্থ্যভবনে দফায়-দফায় আলোচনায় বসেন তদন্ত কমিটির ৬ সদস্য। সন্ধ্যায় তাঁরা স্বাস্থ্যসচিব রাজেন্দ্র শুক্লর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। কাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সেই রিপোর্ট যাবে এবং তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে তা ঘোষণা করবেন বলে খবর।
তবে তার আগেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর শারীরিক অবস্থার মূল্যায়ন করতেই ভুল করেন অ্যাপোলোর চিকিৎসকেরা। পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বিপুল টাকা নিলেও সঞ্জয়বাবুর শরীরের ভিতর বিভিন্ন অঙ্গ থেকে রক্ত ক্ষরণের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কিছুই জানাননি বলে অভিযোগ। তদন্ত কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘ওটি-তে নিয়ে গিয়েও তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের মত, ওই সময় অস্ত্রোপচার করলে ওঁর শরীরে প্রধানত চারটি জায়গার ক্ষতে রক্তক্ষরণ আটকানো যেত। এর ফলে রোগীকে হয়তো বাঁচানো যেত। এতে টাকা খরচের পরিমাণও কমতো। কিন্তু অ্যাপোলো সেটা করেনি।’’ তদন্ত কমিটির আরও প্রশ্ন— লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে অ্যাপোলো অত্যাধুনিক পরীক্ষা করেছে বলে দাবি করেছে। তা সত্ত্বেও কেন রোগীর প্রকৃত অবস্থা বুঝতে তারা ব্যর্থ হবে?
এ দিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যসচিব অবশ্য বলেন, ‘‘চূড়ান্ত রিপোর্টে কী রয়েছে জানি না। সিল খুলিনি। সোমবার খোলা হবে। ফলে গাফিলতি হয়েছে কি না সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’’ তবে স্বাস্থ্য দফতর এবং তদন্ত কমিটি সূত্রের খবর, সঞ্জয়বাবুর প্লীহা থেকে যে প্রবল রক্তপাত হচ্ছে সেটা অ্যাপোলো বুঝতেই পারেনি। তা ছাড়া, যকৃতের রক্তক্ষরণে তাঁকে যে ওষুধ দেওয়া হয়, প্রয়োজনের থেকে তা অনেক বেশি ছিল।
আরও পড়ুন:অভিজ্ঞতা ভাল নয়, বলছেন অভিষেক
পুলিশ সূত্রে খবর, সঞ্জয়ের কী ধরনের চোট লেগেছিল, কী পরিস্থিতিতে তাঁদের হাসপাতালে ডাকা হয়েছিল— এ বিষয়ে দু’জন ডাক্তারের বিবৃতি এ দিন নথিভুক্ত করা হয়। সঞ্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় কাদের জেরা করা হবে, তার একটি তালিকা তৈরি করেছেন তদন্তকারীরা। তাতে ১৬ জন ডাক্তারের নাম রয়েছে। অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষের তরফেও সঞ্জয়ের চিকিৎসার খুঁটিনাটি সমেত ৪৫০ পাতার একটি নথি পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy