জীবৎকালে নিজের যুগান্তকারী গবেষণার কাজে সরকারি-বেসরকারি কোনও স্তর থেকেই কার্যত কোনও সহযোগিতা পাননি চিকিৎসক-গবেষক সুভাষ মুখোপাধ্যায়। অবসাদে ধ্বস্ত হয়ে আশির দশকে আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি। নবীন সম্ভাবনাময় গবেষকদের স্বপ্নের যাতে এই রকম পরিণতি আর না-হয় তার জন্য এ বার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এক সময়কার সুভাষ-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষদস্তিদার।
‘ঘোষদস্তিদার ইনস্টিটিউট ফর ফার্টিলিটি রিসার্চ’-এর মাধ্যমে প্রতি বছর অন্তত দু’জন চিকিৎসক-গবেষককে ফেলোশিপ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সুদর্শনবাবু। সোমবার ১৯ জুন সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করা হয়।
প্রতি মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা ফেলোশিপের পাশাপাশি গবেষণার পুরো খরচই সংস্থার তরফে বহন করা হবে। সুদর্শনবাবুর কথায়, ‘‘বন্ধ্যত্ব চিকিৎসায় কী ভাবে সবচেয়ে উর্বর ভ্রূণ চিহ্নিত করা যায় বা তুলনায় স্থূলকায় পুরুষের শুক্রাণুর মান ও সংখ্যা কম হয় কিনা, এই দিকগুলি গুরুত্বপূর্ণ।’’ এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞরাই জানিয়েছেন, কম খরচে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন আইভিএফ-এর পক্ষে সায় দিচ্ছে গোটা বিশ্ব। তাই এই ধরনের গবেষণায় দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নবীন চিকিৎসক-গবেষকদের সাহায্য করবে এই সংস্থা। গবেষণা সফল হলে তা বন্ধ্যত্ব চিকিৎসার অভিমুখ বদলে দেবে বলে সুদর্শনবাবুর আশা।