ঠান্ডা ঘরে বসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ নয়। জাতীয় স়ড়কে দুর্ঘটনা ঠেকাতে সব জেলার ডিএসপি (ট্রাফিক)-দের এ বার নামতে হবে রাস্তায়। সম্প্রতি এডিজি (ট্রাফিক) বিবেক সহায়ের ‘ক্লাস’-এ এই মর্মেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকর্তাদের।
নির্দেশ অনুযায়ী কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। পুলিশি সূত্রের খবর, বেপরোয়া গাড়ি ধরতে শনি-রবিবার এবং অন্যান্য ছুটির দিনে হাতে ‘স্পিডগান’ নিয়ে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মো়ড়ে মোতায়েন থাকছেন ডিএসপি-রা। জাতীয় সড়কের কোথাও কোনও রকম ত্রুটি রয়েছে কি না, তা-ও দেখতে হচ্ছে তাঁদের। নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে পূর্ত দফতর কিংবা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাস্তার সেই সব ত্রুটি সারানোর ব্যবস্থাও করতে হবে ডিএসপি-দের।
সম্প্রতি জাতীয় সড়কে বেপরোয়া গতির মাসুল দিয়েছেন ফেরারির সওয়ারি শিবাজী রায়। তখনই জানা যায়, দামি গাড়ি কিংবা মোটরবাইক নিয়ে অনেকেই সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে জাতীয় সড়কে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালান। পুলিশকর্তারা জানান, সেই ঘটনার পরেই বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন এডিজি। সেখানে তিনি ছ়়াড়াও অন্য পুলিশকর্তা এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা ক্লাস নিয়েছেন। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘বেপরোয়া গাড়ি ধরে জরিমানা করতেই হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত গাড়িচালকের লাইসেন্স বাতিল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, রাজ্য পুলিশে ট্রাফিক বিভাগ থাকলেও তার পরিকাঠামো ছিল না। সম্প্রতি জেলায় জেলায় ডিএসপি (ট্রাফিক)-র পদ তৈরি হয়েছে। নিয়োগও হয়েছে সেই সব পদে। বেড়েছে পরিকাঠামো। ‘‘ওই অফিসারেরাই এ বার সব জেলায় দুর্ঘটনা ঠেকানোর মূল দায়িত্ব পালন করবেন,’’ বলেন ওই পুলিশকর্তা।
বছর দুয়েক আগে রাজ্যে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ বা ‘সামলে চালাও, জান বাঁচাও’ প্রকল্প চালু হয়। কিন্তু তাতেও জাতীয় সড়কে দু্র্ঘটনা কমেনি। দুর্ঘটনাগ্রস্তের তালিকায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy