চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গিদের একে ৪৭-এর সঙ্গে টক্কর দিতে খুব শিগগিরই সেনা ও সীমান্ত বাহিনীর জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন রাইফেল ‘ঘাতক’। ৭.৬২ ক্যালিবারের এই রাইফেলে অ্যান্টি-ভাইব্রেটার লাগানো আছে। ফলে রাইফেলটির সব ক’টি বুলেট এক নাগাড়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করতে পারবে। রাইফেল কেনা নিয়ে শনিবার ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বিভিন্ন রাজ্য পুলিশের আধিকারিকেরা।
ওই আলোচনায় ইনসাস রাইফেলের কিছু গঠনমূলক ত্রুটি নিয়েও আলোচনা করেন ক্রেতারা। রাইফেল ফ্যাক্টরির তরফ থেকে তাদের তৈরি করা স্নাইপার রাইফেলের আধুনিকীকরণ নিয়ে আলোচনা হয়। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির যুগ্ম জেনারেল ম্যানেজার অমিতাভ সাবুল বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র পুলিশ পাঁচটি করে স্নাইপার রাইফেল পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছে। ভালো সাড়া মিলেছে। আমরা আরও বরাত পাচ্ছি।’’ ৬০০ মিটার পাল্লার এই স্নাইপারগুলিতে পাঁচটি বুলেট থাকে। সাধারণ রাইফেলের মতোই এটি ব্যবহার করা গেলেও এর নিশানা নিখুঁত হওয়ায় বিএসএফ ও আইটিবিপি-র (ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ) পক্ষ থেকে স্নাইপার রাইফেল কেনার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। তবে সীমান্তে ব্যবহারের জন্য স্নাইপারের পাল্লা বাড়ানোর পরামর্শ দেন বাহিনীগুলির আধিকারিকেরা।
রাইফেল ফ্যাক্টরির পক্ষ থেকেও জানানো হয় ৮০০ মিটার পাল্লার স্নাইপার তৈরি করা হচ্ছে। ১.২ কিমি পাল্লার স্নাইপার তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাক্তন এনএসজি কমান্ড্যান্ট বর্তমানে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার লেফ্টেন্যান্ট কর্ণেল নেভেনদ্রা সিংহ পল বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশের কাছে একে ৪৭ আছে। স্নাইপার রাইফেলের বিষয়ে আমরা আগ্রহী। মাল্টি ইউজ ওয়েপনের চাহিদা এখন বেশি। সে দিকে নজর দেওয়া অনুরোধ করেছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy