Advertisement
E-Paper

‘রেশন নেই’ শুনেই ফোন বিধায়কের

‘আলাদা থাকি। অথচ আমার নামে রেশন বরাদ্দ নেই।’— বৃদ্ধার সমস্যার কথা শুনে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলেন বিধায়ক। রবিবার মন্তেশ্বর পঞ্চায়েতের ‘ছায়ানট’ নামের একটি প্রতীক্ষালয়ে ‘জনতার দরবার’ বসিয়ে এ ভাবেই সমস্যার সমাধান করলেন বিধায়ক সজল পাঁজা।

নিজস্ব সংবাদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৬ ০২:১৩
‘জনতার দরবারে’ ভিড়। রবিবার মন্তেশ্বরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

‘জনতার দরবারে’ ভিড়। রবিবার মন্তেশ্বরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

‘আলাদা থাকি। অথচ আমার নামে রেশন বরাদ্দ নেই।’— বৃদ্ধার সমস্যার কথা শুনে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলেন বিধায়ক। রবিবার মন্তেশ্বর পঞ্চায়েতের ‘ছায়ানট’ নামের একটি প্রতীক্ষালয়ে ‘জনতার দরবার’ বসিয়ে এ ভাবেই সমস্যার সমাধান করলেন বিধায়ক সজল পাঁজা। এত দিন এমন দরবার বসাতে দেখা গিয়েছে জেলাশাসক, জেলা সভাপতি থেকে মন্ত্রী, সকলকেই। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল বিধায়কও।

সূত্রের খবর, এমন দরবার বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয় মাস খানেক আগে থেকেই। সেই মতো বিধানসভার পঞ্চায়েত প্রধানদের জানিয়ে দেওয়া হয় রবিবাসরীয় কর্মসূচির কথা। পূর্ব পরিকল্পনা মতো এ দিন বেলা ১০টার আগেই ‘ছায়ানট’ প্রতীক্ষালয়ে পৌঁছে যান সপার্ষদ সজলবাবু। ততক্ষণে ভিড় জমিয়েছেন এলাকার মানুষও।

কেমন হল দরবার? আসানপুরের কলেজ পড়ুয়া সুজয় কোনার বিধায়ককে জানান, বাড়িতে অভাব। বই কেনা হয়নি। সমস্যা শুনেই বিধায়কের নির্দেশ মতো সুজয়-সহ আরও ১০ জন পড়ুয়াকে কিনে দেওয়া হয় বই ও শিক্ষা সরঞ্জাম। ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা রেশন পান না শুনেই খাদ্য দফতরের এক কর্তার কাছে ফোন যায় বিধায়কের। ফোন কেটে বৃদ্ধাকে সজলবাবু বলেন, ‘‘এ বার থেকে ফি মাসে রেশনে ১০ কিলোগ্রাম করে চাল পাবেন।’’ তিন জন ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের ওষুধও দেওয়া হয় এ দিন। এক জন রোগীকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করার বিষয়েও পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দেন সজলবাবু।

বেশ কয়েক জন বাসিন্দা জব কার্ড, রেশন কার্ড নেই বলে জানান। মেলে না বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা প্রভৃতি। এই সমস্ত পরিষেবা দ্রুত যাতে মানুষের কাছে পৌঁছয়, সে জন্য পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক। সমস্যার কথা খাতায় টুকে নেন বিধায়কের সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি। বেশ কয়েক জন আবার বিধায়কের কাছে অভিযোগ করেন, প্রতীক্ষালয় থেকে বেশ খানিকটা দূরে বাস দাঁড়ায়। আবার মন্তেশ্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বাস দাঁড়ানোর ফলে রোগীদের অসুবিধায় পড়তে হয়। এ কথা শুনেই দরবার ছেড়ে বাস চালকদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক। ঠিক হয়, আজ, সোমবার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। দুপুর ৩টে নাগাদ শেষ হয় জনতার দরবার।

‘জনতার দরবার’ বসায় খুশি বাসিন্দারাও। সাজেদ শেখ নামে এক যুবকের কথায়, ‘‘দূরদূরান্ত থেকে এসেও অনেক সময়ে বিধায়কের দেখা মিলত না। প্রতিটি পঞ্চায়েতে এমন দরবার নিয়মিত বসলে আর সমস্যা থাকবে না।’’ দরবার গুটিয়ে সজলবাবু বলেন, ‘‘বিধানসভার ১৯টি পঞ্চায়েতেই শনি অথবা রবিবার জনতার দরবার বসবে।’’

ration government
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy