সরকারি হাসপাতালে আসা বিদেশি রোগীদের আর বিনামূল্যে চিকিৎসা মিলবে না। এ বার এমন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।
নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে, কোনও বিদেশি নাগরিকের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তার জন্য নির্দিষ্ট খরচ নিতে হবে। পেসমেকার, স্টেন্ট বসানো, পরিকল্পিত অস্ত্রোপচারের জন্য খরচ ও সাধারণ শয্যার ভাড়া দিতে হবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের নির্ধারিত খরচ অনুযায়ী। যে চিকিৎসার প্যাকেজ ওই প্রকল্পে
নেই, সেগুলির জন্য নির্দিষ্ট খরচ ধার্য করবেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কেবিন, পেয়িং কেবিনের জন্য সরকারের পূর্ব নির্ধারিত খরচই দিতে হবে বিদেশিদের। রোগীর তথ্য আলাদা
ভাবে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দিষ্ট পোর্টালে রাখতে হবে। ভর্তির পরে নির্দিষ্ট ফর্মে তথ্য জানাতে হবে ‘ফরেনার রিজ়িওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’-কে।
সূত্রের খবর, প্রতি বছর কত জন বিদেশিকে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়, তা নিয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের অডিটে প্রশ্ন ওঠে। ২০১৮ সাল থেকে কত জন বিদেশি পরিষেবা পেয়েছেন তার পরিসংখ্যান চাওয়া হয় সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ থেকে। উঠে আসে বাংলাদেশের পাশাপাশি আইসল্যান্ড, কাজ়াখস্তান, জিব্রাল্টারের মতো দেশের নামও। বিদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবার বিষয়ে নীতি স্থির করতে এসএসকেএমের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে স্বাস্থ্য দফতরের আরও চার কর্তাকে নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছিল। ৩১ মে-র মধ্যে তাঁরা নিজেদের পরামর্শ রিপোর্ট আকারে জমা দেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)