মমতার মন্ত্রীসভার দুই গুরুত্বপূর্ণ মুখ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (বাঁ দিকে) ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (ডান দিকে)।
জল্পনায় আপাতত জল। কোপ পড়ল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায়দায়িত্বে। রাজভবনে চার নতুন মন্ত্রীর শপথগ্রহণ শেষ হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, কে কোন দফতর পাচ্ছেন। খুব বড় রদবদল হল না। পরিষদীয় বিষয়ক দফতরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল তাপস রায় ও সুজিত বসুকে। মলয় ঘটকের দফতরে প্রতিমন্ত্রী হলেন নির্মল মাজি। রত্না ঘোষকে জুড়ে দেওয়া হল অমিত মিত্রের হাত থাকা একটি দফতরে।
তাপস রায় এবং সুজিত বসু স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন। নির্মল ও রত্না প্রতিমন্ত্রী। তাপস রায়কে পরিকল্পনা দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব দেওয়া হল। সঙ্গে তাপস রায়কে পরিষদীয় বিষয়ক দফতরের প্রতিমন্ত্রীও করা হল। ওই দফতরের পূর্ণমন্ত্রী পদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই রইলেন।
পরিষদীয় বিষয়ক দফতরে আরও একজনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। তিনি হলেন সুজিত বসু। তার সঙ্গে সুজিতকে দেওয়া হয়েছে দমকলের স্বাধীন দায়িত্ব। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পর থেকে দমকল সামলাচ্ছিলেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: রথযাত্রার অনুমতি দিয়ে দিল হাইকোর্ট, তবে বিজেপিকে বেশ কিছু শর্ত
মলয় ঘটকের হাতে থাকা শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে নির্মল মাজিকে। আর অমিত মিত্রের হাতে থাকা মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে রত্না ঘোষকে।
মন্ত্রিসভায় যাঁরা আগে থেকেই ছিলেন, তাঁদের মধ্যে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দায়িত্ব বেড়েছে। কাঁথি দক্ষিণের বিধায়ক চন্দ্রিমা এত দিন স্বাস্থ্য, আদিবাসী বিষয়ক এবং ভূমিসংস্কার দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এ বার তার সঙ্গে আবাসন দফতরের দায়িত্বও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাতে গেল।
ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।
আরও পড়ুন: মূল্যায়ন এ বার পার্শ্ব শিক্ষকদেরও
এত দিন পরিকল্পনা দফতরের স্বাধীন দায়িত্বে ছিলেন চন্দ্রিমা। এ বার তিনি আবাসন দফতর স্বাধীন ভাবে দেখভাল করবেন। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পর থেকে ওই দফতরের ভার ছিল অরূপ বিশ্বাসের হাতে।
( বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবরআমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy