ফিনাইল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া হোমের ওই তিন তরুণীকে অন্যত্র পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। বুধবার কোচবিহার জেলাশাসক পি উল্গানাথন জানান, ওই তরুণীদের একজনকে জলপাইগুড়ি, বাকি দু’জনকে মুর্শিদাবাদ ও কলকাতা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলেও বাণেশ্বরের ওই হোমে আর ফিরে যেতে রাজি হননি ওই তিন জন। তাই এ দিন পর্যন্ত কোচবিহার জেলা হাসপাতালেই ছিলেন তাঁরা। জেলাশাসক বলেন, “ওই তিন তরুণী আবাসিক ওই হোমে ফিরতে চাইছে না আর। তাই তাঁদের অন্য জায়গায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে ব্যাপারে অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্র তাঁদের নির্দিষ্ট হোমে পাঠানো হবে।” ওই তরুণী আবাসিক অবশ্য এখন পর্যন্ত তাঁদের কোথায় পাঠানো হবে সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তাঁরা বলেন, “ওই হোমে ফিরতে ভয় হয়। আবার যদি অত্যাচার হয়।”
গত শনিবার হোমের ওই তিন তরুণী আবাসিক ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বেসরকারি ওই হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁরা একাধিক অভিযোগ তোলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন হোমে খাওয়াদাওয়া, পোশাক কিছুই দেওয়া হত না তাঁদের। চাইলে উল্টে মারধর করা হত। খেলা শেখানোর নামে বা অন্য যে কোনও অছিলায় শ্লীলতাহানি করা হত অহরহ। হোমের অন্য আবাসিকরাও হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তোলেন। ওই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে হোম পরিচালন সমিতির এক সদস্য জগদীশ ওরফে ভজন চৌধুরী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
ওই হোম সহ জেলার সমস্ত হোমে নিয়মিত নজরদারির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তবে ওই তিনজনকে অন্যত্র সরিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না বলে অনেকে মনে করেছেন। অল ইন্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাণেশ্বর হোমের পরিচালন সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, বেসরকারি হোম নয়, সরকারি হোমেই মেয়েদের রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy