Advertisement
২১ মে ২০২৪
Girls missing

মালদহের গ্রামে একসঙ্গে নিখোঁজ তিন কন্যা! ছ’দিন পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মেলেনি, তদন্তে পুলিশ

মঙ্গলবার সকালে পরিবারগুলি পুলিশের কাছে যায়। ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তার পর কেটে গিয়েছে ছ’দিন। কিন্তু কোনও খোঁজ নেই নিখোঁজ তিন জনের।

file image

ইংরেজবাজার থানা। — ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:২১
Share: Save:

একই গ্রামের তিন ছাত্রী নিখোঁজ। টানা ছ’দিন কেটে গেলেও সন্ধান নেই কারও। ছাত্রীদের পরিবারের অভিযোগ, গা করছে না পুলিশও। এই পরিস্থিতিতে তিন ছাত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদহ জেলার ইংরেজবাজার ব্লকের কোতয়ালির মিহির দাস কলোনির পাহাড়পুর গ্রামে। পরিবারগুলির অভিযোগ, মেয়েদের অপহরণ করা হয়েছে।

গত সোমবার স্কুল, কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বার হন তিন ছাত্রী। তার পর থেকে তাঁদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। বিকেল পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা খোঁজখবর করতে শুরু করেন। রাত পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলে না। অগত্যা মঙ্গলবার সকালে পরিবারগুলি পুলিশের কাছে যায়। ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তার পর কেটে গিয়েছে ছ’দিন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ তিন জনের কোনও খবর নেই।

জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ছাত্রীদের মধ্যে দু’জন স্কুলছাত্রী, এক জন পড়াশোনা করেন কলেজে। নিখোঁজ এক ছাত্রীর মা বলেন, ‘‘মেয়েরা সকালে স্কুলে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। আমি কাজ সেরে বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখি, তখনও ফেরেনি। সন্ধ্যার পরও না ফেরায় গ্রামে খোঁজ নিতে শুরু করি। দেখি, আরও দু’টি মেয়ে নেই। তখন ভয় লাগতে শুরু করে। কোথায় গেল মেয়েরা!’’ অন্য আর এক নিখোঁজ মেয়ের মা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকালে থানায় ডায়েরি করেছিলাম। তার পর থানা থেকে কেউ আসেনি। আমরা আবার গিয়েছিলাম থানায়। তাঁরা বললেন, ফাঁড়িতে যেতে। সেখানেও গেলাম। কিন্তু মেয়েরা ফেরেনি। আমাদের ভয় হচ্ছে, কেউ অপহরণ করে নিয়েছে মেয়েদের। পুলিশের সহযোগিতা পাইনি।’’

কোতয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমি পুলিশকে বার বার বলেছি, স্যর, ব্যাপারটা একটু দেখে দিতেই হবে। আমি নিজেও গিয়েছিলাম। আবারও যাব।’’

পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, নিখোঁজ ছাত্রীদের সন্ধানে ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বিভিন্ন রেলস্টেশন ও বাস স্ট্যান্ডেও তল্লাশি চলছে। তিনি বলেন, ‘‘পরিবারের উৎকণ্ঠা স্বাভাবিক। তবে পুলিশ গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE