Advertisement
E-Paper

শহরে ধৃতরা, চলছে জেরা

অভিযুক্তদের এ দিন দিনভর প্রকাশ্যে হাজির করেনি পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ৭২ ঘণ্টার বেশি সময়ের ট্রানজিট রিমান্ড থাকায় আজ, রবিবার দুপুরে তাদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:০৫
ফিরলেন তদন্তকারীরা। বিমানবন্দরে। নিজস্ব চিত্র

ফিরলেন তদন্তকারীরা। বিমানবন্দরে। নিজস্ব চিত্র

ভুবনেশ্বর থেকে গুয়াহাটি হয়ে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হল পাঁচ অভিযুক্তকে। শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডের সোনা বন্ধক রেখে ঋণদানকারী সংস্থায় কোটি টাকার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত এই পাঁচজন। শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ বিমানে গুয়াহাটি থেকে বাগডোগরা নিয়ে আসা হয় ৫ অভিযুক্তকে। সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা। বিমানবন্দরে মোতায়েন ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। তবে অভিযুক্তদের এ দিন দিনভর প্রকাশ্যে হাজির করেনি পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ৭২ ঘণ্টার বেশি সময়ের ট্রানজিট রিমান্ড থাকায় আজ, রবিবার দুপুরে তাদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হতে পারে।

বিমানবন্দরের টার্মিনালের রেস্তরাঁর দিকে আলাদা সুরক্ষিত গেট দিয়ে বড় প্রিজনভ্যানে মুখ ঢেকে সকলকে ভিতর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তদের শিলিগুড়ি থানায় রাখার পরে বিকেল থেকেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন কমিশনারেটের অফিসারেরা। রাতে শিলিগুড়ির পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও থানায় যান।

পুলিশ সূত্রের খবর, রাতে বিহার এবং ওড়িশা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অভিযুক্তদের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। তাদের বাড়ির এলাকা, সঠিক নাম-পরিচয়, অভিযুক্তদের নামে পুরনো কোনও মামলা রয়েছে কিনা তাও আর এক দফায় দেখা হচ্ছে। কমিশনের এক কর্তা জানান, আদালতে পেশ করার আগে অভিযুক্তদের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ নির্দিষ্ট সূত্রের ভিত্তিতে তাড়া করে ধৃতদের ওড়িশার বিভিন্ন শহর থেকে ধরা হয়েছে। সেই সময়ে অভিযুক্তদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। আদালতে পেশের আগের রাতে সেই কাজ শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ, অভিযুক্তরা যে বাড়িতে ভাড়া ছিল সেই এলাকার লোকজনদের দিয়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরার পরে টানা জিজ্ঞাসাবাদ সম্ভব হয়নি। তাই ২৪ অগস্ট ডাকাতির পরে তারা ঠিক কোন পথে পালিয়ে কোথায় কোথায় আশ্রয় নিয়ে লুটের মাল কী ভাবে ভাগ করেছে, সে সবই জানার চেষ্টা হচ্ছে। তবে কত সোনা বা টাকা উদ্ধার হয়েছে তা নিয়ে এখনও পুলিশ কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন।

এদিকে ডাকাত ধরা পড়ার পরে ফের নিজেদের সোনা ফেরত পাওয়ার আশা করছেন সোনা বন্ধক রেখে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার গ্রাহকরা। গত মাসে সংস্থার বর্ধমান রোড শাখার ডাকাতির পরে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা আন্দোলন করেছিলেন। শনিবার ডাকাত ধরা পড়ার খবর প্রকাশের পরে বেশ কিছু গ্রাহক সংস্থার কাছে ক্ষতিপূরণের বদলে সোনা ফেরতের দাবি তুলছেন। অনেকেই এখনও ক্ষতিপূরণ নেননি।

Siliguri Jalpaiguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy