Advertisement
E-Paper

কন্যাসন্তান নথিতে বদলে গেল শিশুপুত্রে

কন্যা সন্তান হয়েছে বলে জানলেন প্রসূতি ও তাঁর পরিবার। অথচ নথিতে দেখা গেল লেখা পুত্র সন্তান জন্মেছে। কোচবিহারের নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এমনই গাফিলতির অভিযোগে শিশু বদলের আশঙ্কা দেখা দিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫০

কন্যা সন্তান হয়েছে বলে জানলেন প্রসূতি ও তাঁর পরিবার। অথচ নথিতে দেখা গেল লেখা পুত্র সন্তান জন্মেছে। কোচবিহারের নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এমনই গাফিলতির অভিযোগে শিশু বদলের আশঙ্কা দেখা দিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রবিবার দুপুরে শহরের সুনীতি রোড লাগোয়া ওই নার্সিংহোমে কোতোয়ালি থানা থেকে পুলিশ যায়।

পুলিশ ও নার্সিংহোম সূত্রের খবর, কোচবিহারের বাসিন্দা এক এনভিএফ কর্মী ভিকু সিংহ সর্দার তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী অনিতাদেবীকে ২৩ নভেম্বর নার্সিংহোমে ভর্তি করান। ওই দিন তিনি সন্তান প্রসব করেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয় তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। পরের দিন শিশুর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে তাকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অনিতাদেবী তখনও নার্সিংহোমেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এ দিন নার্সিংহোম থেকে অনিতাদেবীর ছুটি পাওয়ার কথা ছিল। বাড়ির লোকেরা আনতে গেলে নথিতে লেখা গেথেন, অনিতাদেবীর পুত্র সন্তান জন্মেছে। ফলে শিশু বদলের আশঙ্কা করে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। প্রসূতির পরিবারের দাবি, পরে পুলিশের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখার ও শিশুর ডিএনএ পরীক্ষার ব্যাপারে উদ্যোগের আশ্বাস মিলেছে।

কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ওই নার্সিংহোমে গিয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

ওই প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমের এক কর্মী তাঁদের কাছে সন্তানের ব্যাপারে জানতে চান। কন্যা সন্তান হয়েছে বলায় তিনি ফের একই প্রশ্ন করায় সন্দেহের সূত্রপাত। পরে দেখা গিয়েছে সমস্ত কাগজপত্রে তো বটেই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনেও প্রথমে পুত্র সন্তানের কথা লেখা হয়। পরে তা কেটে দিয়ে কন্যা সন্তান হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রসূতির স্বামী ভিকুবাবু বলেন, “কন্যা সন্তান হয়েছে বলেই প্রথমে জানি। এ দিন সমস্ত নথিতে দেখি পুত্র সন্তান লেখা। সন্দেহ দানা বাঁধে। শিশু বদলের আশঙ্কাও হচ্ছে। আমরা চাই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হোক। অন্য কারও যেন এমন সমস্যা না হয়। পুলিশকে সব জানিয়েছি।”

নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মী ভুল করে নথিতে কন্যা সন্তানের জায়গায় পুত্র সন্তান লেখায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়। চিকিৎসকেরাও সেই রেকর্ড দেখে বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করেন। শিশু বদল হয়নি। নার্সিংহোমের ম্যানেজার অম্লান দত্ত বলেন, “এক কর্মীর ভুল লেখেন। পরে সেটা সংশোধন করা হয়। এতে বিভ্রান্তির কিছু নেই।”

চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কর্তারাও বিষয়টি জেনেছেন। কোচবিহার জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার স্নেহাশিস চৌধুরী বলেন, “ওই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।” শনিবার কোচবিহারের মহিষবাথান এলাকার দু’টি শিশুকন্যাকে ওই কমিটির তরফে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কোচবিহারে শিশু দু’টিকে প্রসব করানো হয় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।

Birth certificate baby girl
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy