এই জায়গা থেকেই অপহরণ করা হয় ৪ শ্রমিককে। নিজস্ব চিত্র।
দিনদুপুরে রায়গঞ্জের আর্মস পুলিশের ব্যারাক লাগোয়া কসবা এলাকা থেকে চার শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ উঠল। তাঁদের মধ্যে তিন জন চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে পালালেন বলে দাবি। অভিযোগ, চতুর্থ জনকে ছাড়ানোর জন্য ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এই ঘটনায় পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন অপহৃতের পরিবারের সদস্যরা। যদিও পুলিশের দাবি, আর্থিক লেনদেন নিয়ে পুরনো ঝামেলার জেরে এই ঘটনা। গোটা বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে দিনেদুপুরে পুলিশের চতুর্থ ব্যাটালিয়ন আর্মস পুলিশের ব্যারাকের পাশ থেকে এ ভাবে অপহরণের অভিযোগ ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে রায়গঞ্জের কসবা এলাকা থেকে লরিতে আম তোলার নাম করে চার শ্রমিককে নিয়ে রূপাহারের দিকে রওনা দেয় একটি পিকআপ ভ্যান। অভিযোগ, রূপাহার পার করে বহু দূরে চলে গেলেও দাঁড়াচ্ছিল না ভ্যানটি। ভ্যানের পিছনে বসে থাকা শ্রমিকদের সন্দেহ হওয়ায় সেটি থামাতে বলেন তাঁরা। সে সময় ভ্যানচালক আরও গতি বাড়িয়ে দেন। রায়গঞ্জ থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে চলে গেলে এক শ্রমিক চলন্ত ভ্যান থেকে লাফ দেন বলে দাবি।
আরও কিছুটা দূরে চলন্ত ভ্যান থেকে লাফ দেয় আরও দু’জন। এই তিন জনই আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দা ও ইটাহার থানার পুলিশকর্মীরা। তাঁরাই আহতদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন। তবে গোড়ার দিকে রাজেন মণ্ডল নামে চতুর্থ শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে রাতের দিকে রাজেনের বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে বলে দাবি। সে টাকা দিলে তবেই তাঁকে ছাড়া হবে বলেও জানানো হয়। এমনকি, মুক্তিপণের টাকা নিয়ে কালিয়াচকের সূর্যাপুরে যেতে বলা হয় বলে রাজেনের পরিবারের লোকেদের দাবি।
এ নিয়ে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন রাজেনের পরিবার। তবে তাঁদের দাবি, পুলিশের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতারের দাবি, বিষয়টি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত পুরনো ঝামেলা থেকে হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy