কাঠ ধরতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে গেলেন এক বৃদ্ধা। রবিবার সকালে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ধনতলার ঘটনা। বৃদ্ধার সঙ্গে দুই কিশোর-কিশোরীও কাঠ কুড়োতে নদীতে নেমেছিল। জলের গভীরতা না বুঝেই সকলে মাঝ নদীতে চলে যায় বলে বাসিন্দাদের দাবি। ওই কিশোর ও কিশোরী কোনওরকমে সাঁতরে পাড়ের দিকে আসতে পারলেও, বৃদ্ধা জলে ডুবে যান। রবিবার রাত পর্যন্ত বৃদ্ধার কোনও খোঁজ মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছেন, নিখোঁজ বৃদ্ধার নাম হবিরুন্নেসা (৬০)।
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ মহানন্দার পাড়ে থাকা জেলেদের কয়েকজনের চেঁচামেচি শুনে বাসিন্দারা জড়ো হন। এলাকায় মহানন্দা নদীর পাড়ে একটি ছোট বাঁধ রয়েছে। বাঁধ এবং নদীর মাঝে কিছুটা জায়গা জুড়ে চরও রয়েছে। চরে বসেই মাছ ধরার জন্য নদীতে জাল ফেলেছিলেন কয়েকজন। মাঝ নদীতে এক বৃদ্ধা এবং দুই কিশোর-কিশোরীকে হাবুডুবু খেতে দেখে তাঁরা চিৎকার শুরু করেন। কয়েকজন নদীতেও নেমে পড়েন। পাড়ের দিকে সাঁতরে আসা দুই কিশোর-কিশোরীকে টেনে ডাঙাজমিতে তুলে নেন সৎস্যজীবীরা। তবে বৃদ্ধা মাঝ নদীতে তলিয়ে যান বলে দাবি তাঁদের।
বাসিন্দারা দাবি করেছেন বর্ষার ভরা নদীতে ভেসে যাওয়া কাঠ ধরতে প্রতিদিনই সকাল-বিকেলে অনেকেই নদীতে নামেন। নদীর যেখানে হাঁটু জল সেখানে দাঁড়িয়েই কাঠ ধরা হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিন সকালে বৃদ্ধা হাবিরুন্নেসা এলাকারই দুই কিশোর কিশোরী রফিকুল রহমান এবং সায়রা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে কাঠ ধরতে সঙ্গে নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
প্রথমে হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে কাঠ ধরলেও, কিছু দূর দিয়ে ভেসে যাওয়া কাঠ ধরতে এগোতে থাকেন তাঁরা। গভীরতা আন্দাজ করতে না পেরে মাঝনদীতে গিয়ে তাঁরা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন বলে দাবি। ঘটনার খবর পেয়ে দমকল এবং পুলিশ ধনতলায় আসে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, খবর দেওয়ার দীর্ঘক্ষণ পরে ব্লক প্রশাসনের থেকে উদ্ধারকারী নৌকা পাঠানো হয়। এলাকার বাসিন্দা লাবালু হক, মজিবুর রহমানদের অভিযোগ, ‘‘বাসিন্দারাই সকলে মিলে নদীতে নেমে তল্লাশি চালিয়েছে। খবর দেওয়ার পরেও প্রশাসনের নৌকা পৌঁছতে দেরি হয়েছে।’’ ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নীরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘‘রাজগঞ্জ অফিস থেকে নৌকা এসেছে। বেশি সময় লাগেনি। প্রশাসন বিকেল পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েছে।’’
অন্যদিকে ওই ঘটনায় সাঁতরে পাড়ে চলে আসা রফিকুল এবং সায়রা খাতুনের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। সায়রার কথায়, ‘‘কতটা জল থাকতে পারে তা অনুমান করতে পারিনি। কোনওরকমে সাঁতার দিয়ে পাড়ের দিকে আসি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy