Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ট্রেনে যৌন নির্যাতনের শিকার কিশোরী

ট্রেনের কামরায় অসুস্থ এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। শনিবার ভোরে চিৎপুরগামী তেভাগা এক্সপ্রেস স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল। তখন ট্রেনের একটি কুপে দুই যাত্রী এক কিশোরীর চিৎকার শুনে দৌড়ে যান। তাঁরাই অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রামানন্দ রায়। ওই যুবক কুশমণ্ডি থানার পঞ্চতা গ্রামের বাসিন্দা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৫ ০২:১৫
Share: Save:

ট্রেনের কামরায় অসুস্থ এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। শনিবার ভোরে চিৎপুরগামী তেভাগা এক্সপ্রেস স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল। তখন ট্রেনের একটি কুপে দুই যাত্রী এক কিশোরীর চিৎকার শুনে দৌড়ে যান। তাঁরাই অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রামানন্দ রায়। ওই যুবক কুশমণ্ডি থানার পঞ্চতা গ্রামের বাসিন্দা। ওই কিশোরী ব্রেন টিউমারে ভুগছে বলে তার আত্মীয়রা জানিয়েছেন। ওই কিশোরী দক্ষিণ দিনাজপুরে মামার বাড়িতে এসেছিল। এদিন ওই ট্রেনে বাড়ি ফিরছিল। ঘটনার পর কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফের আত্মীয়ের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শীশরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।’’ এই ঘটনায় বালুরঘাট স্টেশনে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। ঘটনার পর ওই কিশোরীর আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শুখেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের তৎপরতায় এদিন বিকেলে বালুরঘাট থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা কিশোরীর মামা। শুখেন্দুবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘বালুরঘাট স্টেশনে যাত্রী নিরাপত্তার কোনও বালাই নেই। নাম মাত্র কয়েকজন পুলিশকে ট্রেন ছাড়ার আগে ঘোরফেরা করতে দেখা যায়। তা ছাড়া কামরায় উঠে নজরদারির কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে দুষ্কৃতীরা সহজেই দুষ্কর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে।’’ এই ঘটনার আগেও চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের থেকে সোনার গয়না ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রেল কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা ওই ঘটনার জন্য দায়ী বলে শহরবাসী অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।

ভোর সাড়ে ৫টায় বালুরঘাট থেকে চিৎপুরগামী তেভাগা এক্সপ্রেসটি রওনা হয়। ট্রেন ছাড়ার আগে ১৩ বছরের ওই কিশোরীকে কামরায় বসিয়ে তার মামা টিকিট কাটতে প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া কাউন্টারে যান। কামরায় একা ওই কিশোরীকে দেখে তার উপর অভিযুক্ত যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। এদিন বিকেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর ওই আত্মীয় বলেন, ‘‘টিকিট কেটে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে কামরায় ফিরে যাই। ওই সময়ের মধ্যে যে এমন ঘটনা ঘটে যাবে, তা ভাবতে পারিনি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ভোরের ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা নেই। প্ল্যাটফর্মেও পুলিশের দেখা মেলেনি।’’ এ দিন ধরা পড়ার পর অভিযুক্ত পালিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। যাত্রীদের তৎপরতায় ধরা পড়েছে। এ বিষয়ে বালুরঘাট স্টেশন কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে বালুরঘাটে জিআরপি থানা ঘোষণা হলেও এখনও পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশের উপরই নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ দায় সেরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE