অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই মহিলার দাবি, প্রেমের টানে তিনি বেআইনিভাবে ভারতে এসেছিলেন। প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধা ছিল তার উদ্দেশ্য। প্রেমিককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি সীমান্ত এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃতের নাম শিল্পী খাতুন। তার বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁওতে। কুচলিবাড়ি থেকেই মহিলার প্রেমিক ইব্রাহিম মিয়াঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি মালদহের কালিয়াচলকে। মহিলার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ এবং ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশে মদত দেওয়ার আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন,"দু'জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতে পেশ করা হয়। চারদিনের পুলিশি হেফাজত মিলেছে। শুধু প্রেমের সম্পর্ক নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্য রয়েছে তা দেখা হচ্ছে।"
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দি’জন একে অপরের আত্মীয়। বছর দু’য়েক আগে সামাজিক মাধ্যমে দু'জনের মধ্যে যোগাযোগে ঘনিষ্টতা বাড়ে। সেই থেকেই বাংলাদেশের গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মালদার কালিয়াচকের বিবাহিত যুবক। বধূ ওই দিন গভীর রাতে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কুচলিবাড়ির অমর সীমা চৌকি সংলগ্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। জনবসতি এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে গ্রামের মানুষ গৃহবধূকে আটক করে। ওই গৃহবধূ প্রথমে নিজেকে মালদার বাসিন্দা বলে দাবি করে। তার স্বামী তাকে নিতে এসেছে বলেও দাবি করে। সে মতো গ্রামবাসীরা খোঁজাখুজি করে মালদার ওই ব্যক্তিকেও আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা স্পষ্ট হয়। ওই গৃহবধূর কাছ থেকে বাংলাদেশি পরিচয় পত্র উদ্ধার হয়েছে।
ধৃত গৃহবধূর জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ নিয়মিত হলেও একে অপরের সম্পর্কে তারা আত্মীয়। ২০২৩ সালে ইব্রাহিম বাংলাদেশে যায়। তাকে মালদহে নিয়ে এসেছিল। কয়েকমাস থেকে আবার বাংলাদেশে তিনি ফিরে যান। সবটাই দালাল মারফৎ বেআইনিভাবে।
মহিলা বলেন, ‘‘স্বামী আমাকে তালাক দিয়েছে। এর পরে এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিই। রবিবার দিনের বেলা বাবা তিনবিঘা করিডর দিয়ে দহগ্রামের দালালের বাড়িতে এনে রাখে। সেখান থেকে ৪২ হাজার টাকা দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করি।" ইব্রাহিমেরও দাবি, ভালোবাসার টানেই তিনি ওই প্রেমিকাকে মালদহ নিয়ে যেতে এসেছিলেন। পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃতদের দুইজনই বিবাহিত। পরিবার, সন্তান রয়েছে। তাদের নিকট আত্মীয়দের গ্রেফতারের খবর
পাঠানো হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)