Advertisement
E-Paper

আসছেন অভিষেক, তুঙ্গে জল্পনা

আগামী ৮ জানুয়ারি কোচবিহারে রাসমেলার মাঠে সভা করার কথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেছেন, ওই দিন পাঁচ লক্ষ লোকের সমাবেশ দেখবে জেলা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৩
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

হাতে আর মাত্র পাঁচ দিন। রাসমেলার মাঠের চারদিক তো বটেই, সারা শহর ছেয়ে গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হোর্ডিংয়ে। তৃণমূলের দাবি, ডিসেম্বরে বিজেপির সভার ভিড়কে ছাপিয়ে যাবে তারা। বিজেপি অবশ্য ওই দাবিকে আমল দিতে নারাজ।

আগামী ৮ জানুয়ারি কোচবিহারে রাসমেলার মাঠে সভা করার কথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেছেন, ওই দিন পাঁচ লক্ষ লোকের সমাবেশ দেখবে জেলা। তিনি বলেন, “শুধু রাসমেলার মাঠ নয়, গোটা শহরে মানুষের ভিড় হবে। আর বিজেপি যে সভা করেছিল তা হাজার সংখ্যাও পার হায়নি। তাই ও নিয়ে কিছু বলতে চাই না।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “অমিত শাহ শেষ পর্যন্ত ওই দিন থাকতে পারেননি। তার পরেও মানুষের যে ঢল নেমেছিল তা জেলা দেখেছে। সেই ভয়ে টাকা দিয়ে লোক আনার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তাতেও তেমন লোক হবে না।”

কোচবিহারে গত লোকসভার উপনির্বাচনে বামেদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। তার পরে তাদের সংগঠন আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকেই বিজেপির রথযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেইমতো শহর সংলগ্ন ঝিনাইডাঙাতে সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। আদালত রায় না দেওয়ার রথযাত্রা হয়নি। একটি সভা হয়েছে। সেই সভায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির দাবি, ওই দিনের জনসমাগম দেখে চিন্তিত হয়ে পড়ে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি ওই দিন আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি তো বটেই, অসম থেকেও লোক নিয়ে এসেছিল। তবে ওই সভার পরেই তৃণমূলের যুব সংগঠনের নেতা নিশীথ প্রামাণিককে বহিষ্কার করা হয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির সভায় লোক পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল।

এই পরিস্থিতিতে জেলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। এমনিতেই কোচবিহারে যুব ও মূল তৃণমূলের মধ্যে টানা দ্বন্দ্বের অভিযোগ রয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণহানির অভিযোগও রয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে কেন্দ্র করেও দু’পক্ষের লড়াইয়ে নেমেছে বলে জানাচ্ছেন দলের কর্মীদেরই একাংশ। সব জায়গায় আলাদা আলাদা ভাবে মিটিং-মিছিল তো বটেই, রাতের অন্ধকারে একে অপরের হোর্ডিং ভেঙে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই। এটা বিরোধীদের প্রচার। ওইদিন রেকর্ড মানুষের ভিড় হবে।” দিনহাটার বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ বলেন, “মানুষ এখন থেকেওই ওই মিটিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। সুতরাং কেমন ভিড় হতে পারে তা এখান থেকেই বোঝা যায়।”

Meeting TMC Abhishek Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy