—প্রতীকী চিত্র।
রবিবার (আজ) মধ্যরাতে সাগরদ্বীপের উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর। তার পর থেকেই উত্তরবঙ্গে শুরু হয়ে যাবে, ভারী থেকে থেকে অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টি। বাদ যাবে না উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাই, জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া চলবে উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুরেও। শনিবার, আবহাওয়া দফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, রবিবার পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে ‘রেমাল’ আছড়ে পড়তে পারে। তার জেরে, উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই কম-বেশি ভারী বৃষ্টি চলবে আগামী অন্তত দু’-তিন দিন। উত্তরের বেশিরভাগ নদীতেই জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই কালিম্পং, দার্জিলিঙের পাহাড়ি নদীগুলিতে আসতে পারে হড়পা বান। ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে সব জেলা প্রশাসনকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে গত কয়েক দিন থেকেই চলছে ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রক্রিয়া। শনিবার সেই ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ তৈরি হয়। আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার পরেই উত্তর-পূর্ব দিকে ধাবমান হবে ঘূর্ণিঝড়। যদিও আছড়ে পড়ার পরে শক্তিক্ষয় হতে শুরু করবে তার। তখন ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ‘রেমাল’। তার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘গৌড়বঙ্গ, পাহাড় এবং পাদদেশ সংলগ্ন পাঁচ জেলায় আগামী দু'দিন (রবি ও সোমবার) ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।’’ একই সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
ভারী বৃষ্টির আগে আসার আগে, তাপমাত্রা চড়েছে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই। আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ‘রেমাল’-এর প্রভাবে উত্তরবঙ্গে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। তার ফলে, রবিবার ভোর থেকেই বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়ে কয়েকটি জায়গায় ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পুরো পরিস্থিতির জন্য উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে সক্রিয় করা হয়েছে নবান্নের তরফে। শুক্রবার চিঠি দিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি পূর্ণমাত্রায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে নির্দেশ পেয়েছি। সব দিক থেকেই বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy