—প্রতীকী চিত্র।
কালীপুজো বা দীপাবলি কাছে আসতেই চোরা-পথে জেলায় ‘শব্দদানব’ ঢুকতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে আলিপুরদুয়ারে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তেমনই প্রায় তিনশো কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। শব্দবাজির বিরুদ্ধে আরও বেশি করে অভিযান চালাতে থানাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ-কর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাজিকারখানায় বিস্ফোরণের পরে, এ বছর অনেক আগে থেকেই জেলায় শব্দবাজির প্রবেশ রুখতে সতর্ক ছিলেন তাঁরা। কালীপুজো কাছে আসতেই শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযানের লক্ষ্যে প্রতি থানায় আলাদা আলাদা দলও গঠন করা হয়। যার ফলও মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ-কর্তারা জানিয়েছেন, অন্য বছর দীপাবলির আগে, জেলায় প্রচুর শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত হয়। এ বছর তিনশো কেজির মতো শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত হলেও, অন্য বারের তুলনায় তা অনেকটাই কম।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন-রাত নজরদারির ফলে, জেলায় খুব বেশি শব্দবাজি ঢুকতে পারছে না। কিন্তু কিছু শব্দবাজি আগে থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় মজুত করা রয়েছে। মূলত বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় সেগুলি বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই ওই সব এলাকায় নজরদারি বাড়াচ্ছে পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বৃহস্পতিবার বলেন, “শব্দবাজির বিরুদ্ধে জেলার সব থানাই সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। তবু এর বিরুদ্ধে অভিযান আরও বাড়ানো হচ্ছে। থানাগুলোকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” আলিপুরদুয়ার শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে বসা সবুজ আতসবাজি মেলায় এ দিন আচমকাই অভিযানে যান মহকুমাশাসক বিপ্লব সরকার। শহরের এই মেলায় আটটি স্টল তৈরি হয়েছে। প্রতি স্টলে গিয়েই সেখানে কী ধরনের বাজি রয়েছে, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি। মহকুমাশাসক বলেন, “সবুজ আতসবাজির বাইরে কোনও বাজিই বিক্রি করা যাবে না। তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন সকলেই সতর্ক রয়েছে। কোথাও নির্দেশিকা অমান্য করা হলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy