মালদহের গণি খান চৌধুরী ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র সফল ছাত্র-ছাত্রীদের শংসাপত্র দেবে রাজ্য সরকার। শুধু তা-ই নয়, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্বও রাজ্য সরকার নিতে চায়। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রককে একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার নবান্নে এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের সচিব হৃদেশ মোহন। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই রাজ্য সরকার এই ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে।’’
কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তায় মালদহে এই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালু হলেও কোনও এক অজানা কারণে কোনও পর্ষদের অনুমোদন ছিল না। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া শেষ করেও শংসাপত্র পাচ্ছিল না। এরই প্রতিবাদে সম্প্রতি কিছু ছাত্র-ছাত্রী অনশন শুরু করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে কারিগরি শিক্ষা দফতর ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন প্রতিষ্ঠাতা আবু নাসের খান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে। ওই কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেয়। যার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্বও রাজ্যকে নেওয়ার কথা বলা হয়।
এ দিন আবু নাসের খান চৌধুরী নবান্নে বলেন, ‘‘ছাত্রদের কথা জানিয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলাম। উনি কারিগরি শিক্ষা দফতরকে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশ দেন। সেই মতো সিদ্ধান্তও হয়ে গিয়েছে।’’
যদিও গণিখান চৌধুরী কারিগরি কলেজের পড়ুয়ারা তাঁদের অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা বলেন, ‘‘এখনও আমাদেরকে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি। তাছাড়া আমরা আশ্বাস নয়, স্বীকৃতি চাই।’’ পূর্ণাঙ্গ আশ্বাস না পেলে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পড়ুয়ারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy