Advertisement
E-Paper

বদলি অসুখে ভুগছে শহর

দু’দিন দুই জায়গায় বদলি হলেন রেল পুলিশ সুপার। 

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৯ ০৬:৩৮
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

দু’দিনে দু’দফায় খোদ শহরের পুলিশ কমিশনার বদলি। রেল পুলিশ সুপারেরও একই অবস্থা। দু’দিন দুই জায়গায় বদলি হলেন রেল পুলিশ সুপার।

আবার শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ডেপুটি কমিশনারকে (পশ্চিম) বদলি করা হলেও পরিবর্তে এখনও আসেননি কোনও অফিসার। তেমনিই, ডেপুটি পুলিশ সুপারের (ট্র্যাফিক) পদে স্থায়ী কেউ নেই। কয়েক মাস ধরে ট্র্যাফিক দফতরটি ঘুরছে একটি ডিসি থেকে আর এক ডিসি’র অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে। আবার গোয়েন্দা দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ডিসি (ডিডি) পদটিও খালি। এর নিচুতলায় এ সপ্তাহেই অবসর নিয়েছেন এসিপি স্পেশাল ব্রাঞ্চ। এছাড়া, ভোটের আগে কমিশনের নিয়মে অধিকাংশ থানার ওসি, আইসি থেকে শুরু করে বহু অফিসারকে বদলি করা হলেও ঠিকঠাক শুরু হয়নি রদবদল।

এই অবস্থায় শিলিগুড়ির মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে কর্তাদের ঢিলেঢালা মনোভাবে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে খোদ পুলিশ মহলে। অফিসারদের একাংশ জানাচ্ছেন, একপাশে বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্ত। অন্যদিকে, সিকিম এবং চিন। দূরেই বিহার। পাশেই দার্জিলিং, কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকা। লোকসভা ভোটের পর থেকে যেখান থেকে আসা শুরু হয়েছে গোলমালের আঁচ।

আবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বারও শিলিগুড়ি। রোজ লক্ষাধিক মানুষ এ শহরে আসা-যাওয়া করেন। রোজকার আইনশৃঙ্খলা, গুরুত্বপূর্ণ ট্র্যাফিক ব্যবস্থা, ভিভিআই ডিউটি থেকে প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে শহরের নজরদারি। তাতে থানা-ফাঁড়ি থেকে শুরু করে উপরমহল অবধি ‘সঠিক ভাবে’ অফিসারদের দায়িত্ব না দেওয়া থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যা ধীরে ধীরে শিলিগুড়িতে দেখা যাচ্ছে।

শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা তলানিতে ঠেকেছে। অথচ তার ডিসি পদ খালি ছাড়াও অন্য জেলার অনভিজ্ঞ অফিসাদের দিয়ে চালানো হচ্ছে। যার ফল রোজ শহরের মানুষ টের পাচ্ছেন। শহরের এক পুরনো এসিপি বলেন, ‘‘খোদ পুলিশ কমিশনার সকালে থাকছেন। বিকালে বদলি হচ্ছে। আবার পরেরদিন ফিরে আসছেন। তাতে বাকিদের ক্ষেত্রে কি দশা বোঝাই যাচ্ছে।’’ ইনস্পেক্টর স্তরের একজন অফিসার জানান, এক সময় পুলিশের দুটি সংগঠন ছিল। একটি বামেদের। আরেকটি কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন। তা তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে পুলিশ কর্মীদের সমস্যা বলার লোক নেই। এই প্রসঙ্গে কোনও ডিসি তো দূরের কথা খোদ পুলিশ কমি‌শনার কোনও মন্তব্যই করতে চাননি। এক ডিসি বলেন, ‘‘কর্তায় ইচ্ছায় কর্ম। কলকাতা চাইলে হবে, নইলে যা আছে সেই ভাবেই চলবে।’’

Police Commissioner IPS Siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy